‘দানা’র জেরে ধস সোনা-রুপোর বাজারে, ক্রেতাদের মনে খুশির পরশ

বিয়ে ও উৎসবের মরশুমের কারণে গত কয়েকদিন ধরে সোনা-রূপার বাজারদর হঠাৎ চড়তে শুরু করে। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে কেনাকাটায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়ে। কিন্তু, গত দুইদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে নেমে আসা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সেই দাম হঠাৎ নিম্নমুখী। যার ফলে সোনা-রূপার অলঙ্কার তৈরির জন্য মানুষের মধ্যে নতুন করে জোয়ার এসেছে। গতি বেড়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার– এই দুই দিনে বাজার বন্ধকালীন সময়ে প্রতি দশ গ্রাম সোনার দাম কমেছে প্রায় ৮০০ টাকা। যার ফলে শুক্রবার প্রতি দশ গ্রাম ২৪ ক্যারেট পাকা সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ১৫০ টাকা। ২৪ ক্যারেট গহনা সোনা ৭৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এবং হলমার্ক গহনা ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকা। একইভাবে রুপোর দামও এই দুই দিনে কেজি প্রতি প্রায় ২৬০০ টাকা কমেছে। শুক্রবার এক কেজি রুপোর বাটের পাইকারি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ৩০০ টাকা। আর খুচরো মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ৪০০ টাকা।

উল্লেখ্য, সামনেই ধনতেরাস ও ভাইফোঁটা। আবার অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিয়ের লগ্ন। বাঙালি ও অবাঙালি সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই সোনার অলঙ্কারের চাহিদা বেড়েছে। ফলে লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই বেশ কয়েকদিন ধরে সোনা-রূপার দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর– এই ১৬ দিনের ব্যবধানে সোনার দাম প্রায় ৩ হাজার ৯০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৯ অক্টোবর বুধবার লক্ষ্মীপুজো শুরুর দিন প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট পাকা সোনার দাম ছিল ৭৫ হাজার ৫০ টাকা। লক্ষ্মীপুজোর পর সেই দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে। এবং ২৩ অক্টোবর সেই দাম গিয়ে পৌঁছয় ৭৮ হাজার ৯৫০ টাকায়। অর্থাৎ ৩ হাজার ৯০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। একইভাবে চলতি মাসের ৯ তারিখে প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট গহনা সোনার দাম ছিল ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা। ২৩ অক্টোবর সেই দাম দাঁড়ায় ৭৯ হাজার ৩৫০ টাকা। একইভাবে হলমার্ক গহনার দামও বৃদ্ধি পায়। ৯ অক্টোবর প্রতি দশ গ্রাম ২২ ক্যারেট হলমার্ক গহনার দাম ছিল ৭১ হাজার ৭০০ টাকা। ২৩ অক্টোবর বুধবার বাজার বন্ধকালীন সময়ে সেই দাম দাঁড়ায় ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা।


এদিকে সোনার মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ১৬ দিনে রুপোর দামেরও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি ঘটে। যার ফলে ৯ অক্টোবর এক কেজি রুপোর পাইকারি দাম যেখানে ছিল ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা, ২৩ তারিখে সেই দাম দাঁড়ায় ৯৯ হাজার ৭০০ টাকায়। অর্থাৎ ১৬ দিনে কেজি প্রতি ১১ হাজার টাকা দাম বৃদ্ধি হয়। এই সময়ের ব্যবধানে রূপার খুচরো মূল্যও একইভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা।