শীতকালীন বিয়ের মরশুমে ব্যবসা বাড়তে চলেছে ৪১ শতাংশ!

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি

নভেম্বর-ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মরশুম। তবে, এই বছর বাড়তে চলেছে বিয়ের সংখ্যা, এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে চলেছে ব্যবসা – এমনটাই জানাল কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডারস (সিএআইটি)-র করা একটা সমীক্ষা।

সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, গত বছর এই সময়ে বিয়ের তারিখ ছিল মাত্র ১১টা। এই বছর সেই তুলনায় ১৮টা বিয়ের তারিখ রয়েছে ১২ নভেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে – যার ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। গত বছর আন্দাজ ৩৫ লক্ষ বিয়ে হয়, যার থেকে আনুমানিক ৪.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এই বছর বিয়ের তারিখ বেশি থাকায় আন্দাজ ৪৮ লক্ষ বিয়ে হতে চলেছে, যাতে আনুমানিক ৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হতে চলেছে – গত বছরের থেকে যা শতকরা ৪১ শতাংশ বেশি।

সিএআইটির অনুমান, বিবাহ অনুষ্ঠান পিছু ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে, এমন বিয়ে আন্দাজ ১০ লক্ষ; বিয়ে প্রতি ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে, এমন বিবাহের সংখ্যা ১০ লক্ষ; ১০ লক্ষ টাকার বিয়ে ১০ লক্ষ, ১৫ লক্ষ টাকার বিয়ে ১০ লক্ষ। ২৫ লক্ষ টাকার বিয়ে আন্দাজ ৭ লক্ষ, আর ৫০ লক্ষ টাকা এবং ১ কোটি টাকা, উভয় ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠানই হবে ৫০ হাজার করে।


এই বছর ডিসেম্বরের ১৬ তারিখের পরে মাসখানেক আর কোনও বিয়ের তারিখ নেই । ফের বিয়ের মরশুম আসবে ২০২৫-এর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে, যা চলবে ২০২৫ এর মার্চ পর্যন্ত।

সিএআইটি-র মুখ্যসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানের খরচ দু’ভাগে ভাগ করা যায় – পণ্য এবং পরিষেবা। পণ্যের মধ্যে ব্যয় হয় মূলত গয়নাগাটি (১৫%), জামাকাপড় (১০%), ইলেক্ট্রনিক্স ও অ্যাপ্লায়েন্স (৫%), শুকনো ফল, মিষ্টি এবং স্ন্যাকস (৫%), মুদিখানার জিনিস এবং আনাজপত্র (৫%), উপহার সামগ্রী (৪%) এবং অন্যান্য (৬%)। পরিষেবার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কোয়েট হল, হোটেল এবং নানা রকমের অনুষ্ঠানগৃহ (৫%), কেটারিং পরিষেবা (১০%) ,ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ফুলসজ্জা, যাতায়াত (৩%), ফোটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি (২%), গানবাজনা, আলোকসজ্জা ইত্যাদি।