ওয়াজিরএক্সের গ্রাহকদের জন্য দুঃসংবাদ! সম্প্রতিই ভারতীয় এই শীর্ষ ক্রিপটোকারেন্সি সংস্থার ২০০০ কোটি টাকা মূল্যের তথ্য ফাঁস হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের জানা যায়, ওয়াজিরএক্সের গ্রাহকদের (যার মধ্যে রয়েছেন কমপক্ষে ৪২ লক্ষ ভারতীয় ব্যক্তিও) মোট লগ্নিকৃত অর্থের অন্তত ৪৩ শতাংশ চোট যেতে পারে। এই ঘোষণার পর থেকেই সরকারি নানা নিয়ন্ত্রক সংস্থার রাডারে এই ক্রিপ্টো সংস্থা চলে এসেছে।
সম্প্রতি একটি বৈঠক করে সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিশ্চল শেট্টির উপস্থিতিতে ওয়াজিরএক্স তাদের বিনিয়োগকারীদের এই দুঃসংবাদটি দেয়। ক্রোল নামক একটি পুনর্গঠক সংস্থা যারা বর্তমানে ওয়াজিরএক্সের সঙ্গে কর্মরত, তাদের এক ডিরেক্টর জর্জ গুই বারংবার বলেছেন, অত্যন্ত ভাগ্যবান হলে লগ্নিকৃত অর্থের ৫৫ থেকে ৫৭ শতাংশ অর্থ ফেরত পাওয়া সম্ভব হবে।
ওয়াজিরএক্স সিঙ্গাপুর হাইকোর্টে ৬ মাসের জন্য সুরক্ষার আবেদন করে। তারা মনে করছে, এই সময়ের মধ্যে তাদের সমস্ত আর্থিক দায়ের পুনর্গঠন সম্ভব। সিঙ্গাপুরের জেট্টাই সংস্থা আদালতের কাছে এই আবেদন জানিয়েছে। জেট্টাইয়ের অধীনস্থ জানমাই ইন্ডিয়া সংস্থাটি ওয়াজিরএক্সের যাবতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময় করে থাকে।
ইতিমধ্যে ভারতীয় ক্রিপ্টো বিনিময় সংস্থা কয়েনসুইচ ওয়াজির এক্সের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের কিছু অর্থ নিশ্চল শেট্টির সংস্থায় নিশ্চল হয়ে পড়ে আছে, তাই তাদের এই সিদ্ধান্ত। কয়েনসুইচের সব মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় ১২.৪ কোটি টাকা, ইআরসি২০ (ইথিরিয়াম) টোকেনে ২৮.৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য টোকেন মিলিয়ে ৩৯.৯ কোটি টাকা – যা তাদের মোট অর্থের প্রায় ২ শতাংশ ওয়াজিরএক্সে আটকা পড়ে আছে।
ওয়াজিরএক্সের এই আর্থিক ক্ষতি এবং অর্থসংক্রান্ত মূল্যবান তথ্যের ফাঁস এটাই প্রমাণ করে দেয়, ভারতীয় আর্থিক ব্যবস্থায় উন্নততর সুরক্ষা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় নীতি কতখানি প্রয়োজন।