বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আম্বানি-জিন্দালদের

নিজস্ব চিত্র

বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে রাজ্যে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগামীদিনে বাংলায় তাঁর কোম্পানি রিলায়েন্স ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। সেই লক্ষ্যে এদিন মুকেশ পাঁচটি লক্ষ্য বা বিনিয়োগের গতিপথও জানিয়ে দিয়েছেন। মুকেশ ছাড়াও সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, সৌরভ গাঙ্গুলি, সজ্জন জিন্দাল, সঞ্জীব পুরীরা রাজ্যে একাধিক বিনিয়োগের কথা বলেছেন। বাণিজ্যের জন্য রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে মা কালী থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, সুভাষচন্দ্র বসু, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়ের নাম। তাঁর মতে, বাংলা নবজাগরণের উন্মুক্ত ক্ষেত্র। দেশে বিভিন্ন সময়ে বাংলার মাটি থেকেই নবজাগরণের ডাক উঠেছে।

শিল্পক্ষেত্রেও বাংলায় ঘটেছে নবজাগরণ। বিশ্বের কোনও শক্তি বাংলার পুনরুত্থান আটকাতে পারবে না। এদিন বক্তব্য রাখার সময় মমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন মুকেশ। মমতা নামের অর্থ এদিন সম্মেলন থেকে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, মমতা মানেই সহানুভূতি, যিনি সকলের জন্য অবিশ্রাম লড়াই চালিয়ে যান।


বাংলায় দ্বিগুণ বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন এই শিল্পপতি। জিও মোবাইল নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। মুকেশ জানান, এখানেই তৈরি হবে এআই ডেটা সেন্টার। পাশাপাশি স্বদেশ নামের একটি স্টোর খোলার কথাও জানান তিনি। এই স্টোরের মাধ্যমে জামদানি, মুর্শিদাবাদি সিল্ক, বিষ্ণুপুরী বালুচরী, মসলিন, কাঁথা স্টিচের কারুকাজ ও শিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া হবে।

পাশাপাশি কালীঘাট মন্দির সংস্কারের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন মুকেশ। এছাড়াও দিঘায় হবে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন।
মুকেশ এদিন জানান, ধাপে ধাপে বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ গুণ বেড়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে ১ লক্ষ মানুষের। মুকেশ আম্বানি স্বীকারক্তি, বাংলা থেকেই পথচলা শুরু করেছিল জিও। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১৩০০টি জিও স্টোর রয়েছে। আগামী বছর আরও ৪০০ স্টোর হবে। উৎপাদন শিল্পে বাংলার উন্নতি সাধনের জন্য গ্রিন এনার্জি তৈরি বা সৌর বিদ্যুৎ তৈরির উপর জোর দিয়েছেন ভারতের অন্যতম শিল্পপতি। মুকেশের কথায়, ‘সোনার বাংলার জন্য সোলার বাংলা তৈরিই লক্ষ্য রিলায়েন্সের। ডিজিটাল উন্নয়নে বাংলাই পূর্ব ভারতকে নেতৃত্ব দেবে।’
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়