ভারত বর্তমানে টেক্সটাইল এবং পোশাকের বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৩.৯% দখল করেছে। বস্ত্র ও হস্তশিল্প-সহ এটি ২০২৩-২৪ সালের মোট রপ্তানির ৮.২১ শতাংশ অধিকার করেছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে ২০২৩ সালের হিসাবে, ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। হস্তশিল্প-সহ বস্ত্র ও পোশাকের সামগ্রিক রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের একই সময়ের তুলনায়, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-অক্টোবর সময়কালে প্রায় ৭ শতাংশ (২১,৩৫৮ মিলিয়ন ডলার) বৃদ্ধি পেয়েছে।
বস্ত্র মন্ত্রকের দেওয়া এক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-অক্টোবর সময়কালের মোট রপ্তানির (২১,৩৫৮ মিলিয়ন ডলার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেডিমেড গার্মেন্টস বিভাগের বৃহত্তম অংশ (৪১ শতাংশ) ৮,৭৩৩ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া সুতি বস্ত্র (৩৩ শতাংশ, ৭,০৮২ মিলিয়ন ডলার) ও হ্যান্ডলুম টেক্সটাইল (১৫ শতাংশ)।
অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের একই সময়ের তুলনায়, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-অক্টোবর সময়কালে, সমস্ত প্রধান পণ্যের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। উল এবং হস্তচালিত তাঁত বাদে যথাক্রমে ১৯ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে (৮,৯৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ভারতের বস্ত্র ও পোশাক পণ্য আমদানি, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের (১০,৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ কমেছে।
বস্ত্র ও পোশাকের সামগ্রিক আমদানি (হস্তশিল্প-সহ ) ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের একই সময়ের (৫,৪৬৪ মিলিয়ন ডলার) তুলনায়, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-অক্টোবর সময়কালে প্রায় ১ শতাংশ (৫,৪২৫ মিলিয়ন ডলার) হ্রাস পেয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-অক্টোবরের মেয়াদকালে, মোট আমদানিতে (৫,৪২৫ মিলিয়ন ডলার) ১৮৫৯ মিলিয়ন ডলার আমদানি-সহ, হ্যান্ডলুম টেক্সটাইল বিভাগের বৃহত্তম অংশ (৩৪ শতাংশ) যুক্ত হয়েছে। এই খাতে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে।
প্রধানত সুতির তন্তু আমদানির কারণে সুতি বস্ত্রের আমদানিতেও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। আমদানির এই প্রবণতা ক্রমবর্ধমান খরচ ও আত্মনির্ভরতার মধ্যে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে।