নীল ছবি আজ বিশ্ব আঙিনায় জায়গা করে নিয়েছে। নীল ছবির জগতে কাজ করা কুশীলবরা আজ বেশ বিখ্যাত। সমাজে তাদের প্রতি ছুৎমার্গও আগের তুলনায় কম। যেহেতু এটিও আজ মনোরঞ্জনেরই মাধ্যম তাই অস্কারের মঞ্চে জায়গা দেওয়া উচিত নীল ছবির সঙ্গে যুক্তদেরও। এমনটাই মন্তব্য করলেন পর্ন ছবির পরিচালক এরিকা লাস্ট। নীল ছবিকে পাকাপাকি ভাবে অস্কারের মঞ্চে এনে ফেলার জন্য বহু দিন ধরেই লড়ছেন এরিকা। একাধিক দরজায় কড়া নাড়িয়েও এখনও কোথাও তাঁর দাবিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবুও লড়াই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। ৪৫ বছর বয়সি এরিকার দাবি, বিশ্ব জুড়ে নীল ছবিকে ‘নোংরা’ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সব ছবির দুনিয়াতে কর্মরত অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে পরিচালক, এমনকি টেকনিশিয়ানরাও অনেক বেশি কৃতিত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন এরিকা। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এরিকা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছবি বানিয়ে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মানুষকে আনন্দ দিতেই পর্ন ছবি তৈরি করা হয়। এ ছাড়াও অনেক মানুষই পর্ন ছবি সাধারণ ছবির মতো উপভোগ করেন বলেও তাঁর দাবি।
এরিকা বিশ্বের খ্যাতনামী নীল ছবির পরিচালক তথা ‘নতুন পর্ন’ দুনিয়ার অগ্রগামী হিসাবে পরিচিত। তিনি জানান, নীল ছবিতে যাঁরা ঘনিষ্ঠতা প্রশিক্ষক অর্থাৎ, যাঁরা সঙ্গমের দৃশ্য কেমন হবে তা ঠিক করেন, তাঁদের উপর গুরুদায়িত্ব থাকে। অভিনেতাদের থেকে শুরু করে চিত্রগ্রাহক, সকলের সুবিধার জন্য দৃশ্যগুলিকে সাজিয়ে তোলেন ওই প্রশিক্ষকরা। এরিকার দাবি, পর্ন ছবির দৃশ্য সাজাতে যথেষ্ট শিল্পীসত্তার প্রয়োজন। কিন্তু তাঁর আক্ষেপ, একে শিল্প হিসাবে দেখা হয় না। ২০০৪ সাল থেকে এরিকা ৩০০টিরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন। তাঁর দাবি, হলিউড এবং অন্যান্য সিনেমা জগতের পর্ন থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।