• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বারো মাসে তেরোটি পার্বণী গান, অভিনব উদ্যোগ স্টার মঞ্চের 

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাকে ঘিরেই একের পর এক উদ্‌যাপনী গান। পার্বণের সঙ্গে গানের এই গাঁটছড়া বেঁধেছে ‘স্টারমঞ্চ’।

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাকে ঘিরেই একের পর এক উদ্‌যাপনী গান। পার্বণের সঙ্গে গানের এই গাঁটছড়া বেঁধেছে ‘স্টারমঞ্চ’। ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন কেড়েছে গান বাজনার এই নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। ভাবনাটা বেশ অভিনব।

এর মূল হোতা, স্টার মঞ্চের কর্ণধার এক প্রবাসী বঙ্গতনয়, রণদীপ ভট্টাচার্যর কথায়- “বাঙালি প্রায়শই বলে, তাদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। কিন্তু বাঙালির প্রকৃত পার্বণগুলো কি এর মধ্যে থাকে? এই ভাবনা থেকেই স্টার মঞ্চের জন্ম”।

এই পার্বণী গানের শুরু হয়েছে এবারের কলকাতা বইমেলা দিয়ে। তার পর একে একে পয়লা বৈশাখ, পঁচিশে বৈশাখ পেরিয়ে জামাইষষ্ঠী। বইমেলার গান গেয়েছিলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।

নববর্ষে গানে ছিলেন লোপামুদ্রা, শ্রীকান্ত আচার্য, ইমন এবং রূপঙ্কর। পঁচিশে বৈশাখ উদযাপনে ছিল শ্রীজাত-র কবিতা সন্ধেপাখি। জয় সরকারের সুরে কবিতা গান হয়ে উঠেছিল জয়তী চক্রবর্তীর গলায়। এ বার জামাইষষ্ঠীতে গান গাইল ‘চন্দ্রবিন্দু’। 

সংস্থার দাবি, তারাই দেশের প্রথম কারাওকে অ্যাপ। এর আগে বিদেশে এমন অ্যাপের চল থাকলেও ভারতে ‘স্টারমঞ্চ’-ই প্রথম উদ্যোগ। অভিনব এই ক্যারাওকে অ্যাপের মাধ্যমে মনের গান কণ্ঠে আনা যাচ্ছে অনায়াসেই।

ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রতিভার সন্ধানে অনলাইন এক প্রতিযোগিতাও করে ফেলেছে এই স্টার মঞ্চ।

স্টার মঞ্চের এই অভিনব উদ্যোগের মূল উপদেষ্টা শ্রীজাত এবং জয় সরকার। তাঁরা চান, এই প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে শহর, শহরতলি, এমনকি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গানে নতুন নতুন প্রতিভারা উঠে আসুক।

নতুন শিল্পী তৈরি হোক। জয়, শ্রীজাত ছাড়াও, বাংলার প্রথম সারির অনেক সঙ্গীত শিল্পী যুক্ত হচ্ছেন এই অভিনব প্রয়াসের সঙ্গে।