বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা পরিচালক তরুণ মজুমদার প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
বিগত কয়েকদিন যাবত তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে তিনি যুদ্ধ করে যাচ্ছিলেন মৃত্যুর সাথে কিন্তু সেই রক্ষা আর হল না।
চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টার পরেও জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন এই মহারথী পরিচালক। তার মৃত্যু বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এক যুগের অবসান।
বিগত কয়েক বছর তিনি কিডনি, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও ডায়াবিটিসের মতন কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে তেমনই একাধিক শারীরিক জটিলতা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু ও সৌমিত্র ঘোষের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরও শেষ রক্ষা হল না।
পরিচালকের প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকের ছায়ায় নেমে এসেছে সকল চলচ্চিত্র প্রেমী মানুষ এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে। তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তরুণ মজুমদার পরিচালিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র, বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, শহর থেকে দূরে, পথভোলা, চাঁদের বাড়ি, আলো ইত্যাদি উল্লেখের দাবী রাখে।
চারটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ৭টি BFJA এবং ৫টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। ‘ভালোবাসার বাড়ি’ তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি। যেটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।