শুক্রবার আগের থেকে অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রইলেন সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাই মেডিকেল অক্সিজেন সাপোর্টের মাত্রা কমালেন ডাক্তাররা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ছয় লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল তাঁকে। এখন মাত্রা কমিয়ে তিন লিটার করা হয়েছে।
তবে অক্সিজেন সাপোর্টের মাত্রা কমালেও শিল্পীর আশঙ্কা সম্পূর্ণ কাটেনি বলে মনে করছেন ডাক্তাররা। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন গীতশ্রী। তার ওপর কোভিড ধরা পড়ায় শিল্পীর শারীরিক অবস্থায় গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়। একই সঙ্গে তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ধরা পড়ে।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি গ্রিন করিডরে করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে করোনা টেস্টের পরে শিল্পীর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তখন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসএসকেএম থেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে বাইপাসের ধারে বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় শিল্পীর চিকিৎসার জন্য।
এই বোর্ডে রয়েছেন কার্ডিওলজিস্ট পি সি মণ্ডল এবং সুজন মুখোপাধ্যায়। পালমোনোলজিস্ট দেবরাজ জশ। রয়েছেন অর্থোপেডিক রঞ্জন কামিলা এবং ক্রিটিকাল কেয়ার এক্সপার্ট সুরেশ রমা সুভান। প্রয়োজনে বোর্ডে সদস্যের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
শুক্রবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৯২ বছরের সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও দীর্ঘদিনের হার্টের সমস্যা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে অ্যানিমিয়া। এই সঙ্গে বুধবার পড়ে গিয়ে চোট পান শিল্পী। হাড় না ভাঙলেও যন্ত্রণা রয়েছে তাঁর।
সেই সঙ্গে কোভিড এবং ফুসফুসে সংক্রমণ জটিলতা বাড়িয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও রয়েছে। তাই তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে গীতশ্রী শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের।