সমালোচকদের দ্বারা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে ইন্দো-ফরাসি ড্রামা জনরের ছবি ‘গার্লস উইল বি গার্লস’। প্রাইম ভিডিওতে মুক্তির আগে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় ছবিটির। পুশিং বাটনস স্টুডিওর উপস্থাপনায়, নির্দেশক শুচি তালাতির ফিচার পরিচালনায় আত্মপ্রকাশকে সেলিব্রেট করতেই হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। ছবিটিতে কানি কুশ্রুতি ছাড়াও অভিনয় করেছেন নবাগত প্রীতি পাণিগ্রাহি এবং কেশব বিনয় কিরণ।
স্ক্রিনিংয়ে সহ-প্রযোজক রিচা চাড্ডা এবং নির্বাহী প্রযোজক আলি ফজল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এসেছিলেন দিব্যা দত্ত, বিজয় ভার্মা, অদিতি রাও হায়দারি, কঙ্কনা সেন শর্মা, ভুবন বাম, দিয়া মির্জা এবং আরও অনেকে।
সানড্যান্স, টিআইএফএফ এবং কানের মতো বড় উৎসবগুলিতে বিজয়ী হওয়ার পর, ছবিটি পেয়েছে সানড্যান্সের অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড। বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে এই সিনেমা।
এটি ১৮ বছর বয়সি মীরার মর্মস্পর্শী গল্প যা মানুষের মন ছুঁয়েছে। এ যেন তার বয়ঃসন্ধিকালের ব্যক্তিগত সংগ্রাম, বিদ্রোহ এবং আত্ম-আবিষ্কারের গল্প। এটি মীরার প্রেমে পড়ার গল্প। ছবিতে দেখানো হয়েছে, ৯০-এর দশকের শেষের দিকের প্রেক্ষপটে, মীরা (প্রীতি পাণিগ্রহী) নামের মেয়েটি হিমালয়ের পাদদেশে একটি স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সে স্কুলের প্রথম মেয়ে যে হেড প্রিফেক্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে এবং গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সে হংকং থেকে আসা শ্রীনিবাসের (কেশব বিনয় কিরণ) সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। দুজনেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। মীরা তার মা অনিলার (কানি কুশ্রুতি) সঙ্গে থাকে। শ্রীনিবাসের সঙ্গে মীরার অন্তরঙ্গতার বিষয়টি মা ধরে ফেলেন। তিনি মীরাকে বলেন শ্রীনিবাসকে বাড়িতে নিয়ে আসতে। এরপর অনিলা এবং শ্রীনিবাসের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়, যা মীরাকে ঈর্ষান্বিত করে। কিছুটা রেষারেষির মনোভাবও কি তৈরি হয় দুই নারীর মধ্যে?
এরপরে যা ঘটে তা জানতে হলে ছবিটি দেখতে হবে। পুশিং বাটন স্টুডিওস, ডলচে ভিটা ফিল্মস এবং ক্রলিং অ্যাঞ্জেল ফিল্মসের ব্যানারে রিচা চাড্ডা, ক্লেয়ার চ্যাসাগেন এবং শুচি তালাতি প্রযোজিত ছবি ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ এখন ভারতে প্রাইম ভিডিওতে ইংরেজি, হিন্দি এবং মালয়ালম ভাষায় সম্প্রচারিত হচ্ছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অমন একটি ছবি দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। কেউ কেউ এটিকে বছরের সেরা ছবি বলেও মনে করছেন।