পাঁচফোড়নস
পুরোন উত্তর কলকাতার মেস বাড়ির এক বৃদ্ধ বাড়িওয়ালা যার নাম ধনেশ্বর পাছাল, যার নেশা বাংলা সিরিয়াল ও বাংলা মদ।
বাড়ির প্রথম ভাড়াটে, যার নাম জিকো, স্বভাবে বাতেলাবাজ এবং পেশায় একজন গীটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। তার গানের রেওয়াজে সারা পাড়া উন্মাদ হয়ে যায়।
জিকো ঘনঘন সুন্দরী নারীদের প্রেমে পড়ে। পাচাল দাদু বাতের ব্যথার কারণে নিজে ওপর নীচ করতে পারে না কিন্তু এ বাড়ির দরজায় তিনি নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী লিখে রেখেছেন। তারমধ্যে একটি স্পষ্ট ভাবে উল্লিখিত যে নারীর এই বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ।
প্রভু যে কিনা এই বাড়ির দ্বিতীয় ভাড়াটে সে একজন রিসার্চার এবং লোককে বলে একজন সায়েনটিস্ট।
প্রভু স্বভাবে শান্ত, ধীরস্থির, নিরামিষাশী এবং যে কোনো মেয়ের থেকে দশ হাত দূরে পালায়। কেউ কোন বিপদে পড়লে এই প্রভুই বাঁচায়।
সোনি একজন ফোটোগ্রাফার, ঘন্টায় একটা কথা বলে এবং রাতদিন ছবি তোলে। ও বাইরেই থাকে বেশী।
মহেন্দ্র আরেকজন ভাড়টে যে পেশায় একজন ক্যাফে বয়। একটা ক্যাফেটেরিয়ায় কাজ করে। গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল ছেলে মহেন্দ্র।
সারাক্ষণ বসের চাকরী খাওয়ার হুমকি সহ্য করে। সহজ সরল হলেও মহেন্দ্র বুদ্ধিমান এবং অত্যন্ত জেদী প্রকৃতির।
প্রদীপ পেশায় একজন অভিনেতা রাতদিন অডিশন দেওয়ার জন্য বাইরে ঘোরাঘুরি করে। রাগী স্বভাবের ছেলে। সারাদিন কায়দা করে সাজগোজ করে ঘুরে বেড়ায় আর চুরিও করে বটে।
এই পঞ্চরত্নকে নিয়ে ইউনিটি পিকচার্সের ব্যানারে আসছে বাংলার প্রথম “সিটকম” অথবা সিচুয়েশনাল কমেডি ওয়েব সিরিজ ‘পাঁচফোড়নস’।
ধনেশ্বর পাছালের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই পাঁচ ভাড়াটিয়া ছেলের ভূমিকায় অর্ক ভট্টাচার্য, সাম্য সমাদ্দার, সুমিত প্রামানিক, শুভাশিস শিকদার এবং শৌনক রায়কে।
চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় ভারতের প্রথম ভৌতিক মিনি সিরিজ খ্যাত পরিচালক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রযোজনায় মহুল সিংহ। সিরিজটি খুব শীগগিরই “মোজোপ্লেক্স” ও.টি.টি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে।
আগামী ২৭ তারিখ থেকে সবাই এই বিশুদ্ধ নির্মল হাসি উপভোগ করতে পারবেন মোজোপ্লেক্সে।