• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

শাহরুখের বাড়িতে মাদক খুঁজতে যাচ্ছে না এনসিবি

মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন ছেলে আরিয়ান খান-সহ বন্ধু-বান্ধবীরা। এবার কি শাহরুখ খানের বাংলো মন্নতে তল্লাশি চালাবেন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা?

আরিয়ান খান (ছবি- ইন্সটাগ্রাম)

মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন ছেলে আরিয়ান খান-সহ বন্ধু-বান্ধবীরা। এবার কি শাহরুখ খানের বাংলো মন্নতে তল্লাশি চালাবেন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা? এমনটাই রটে গিয়েছিল দিনভর চলতে থাকা শাহরুখ পুত্রের মাদক নাট্যে।

মুম্বই জুড়ে যখন এই জল্পনা, তখন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো জানিয়েছে, এখনই শাহরুখের বাড়িতে তল্লাশির প্রয়োজন নেই। তারা মন্নতে যাচ্ছেন না। কারণ তদন্তকারীরা মনে করছেন, বন্ধুবৃত্তে আরিয়ান মাদক আনত না, আনত অন্য কেউ।

শাহরুখ-পুত্র শুধু খরচ দিত। তাই গোয়েন্দারা এমনটা মনে করছেন না যে মন্নতে মাদক মজুত থাকতে পারে। গোয়াগামী প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালিয়ে গতকাল রাতেই আটজনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।

তাদের মধ্যে আরিয়ান ছাড়া রয়েছে মুনমুন ধামেচা, আরবাজ মার্চেন্ট, ইসমিত সিং, মোহক জয়সোয়াল, গোমিত চোপড়া, নূপুর সারিকা ও বিস্ত চোকার। তদন্তকারীরা বলেছেন আরিয়ান ও আরবাজের বন্ধুত্ব ১৫ বছরের। দু’জনেই মাদকে আসক্ত।

মাদক কেনাবেচা চক্রের সঙ্গেও এদের যোগ আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সের আইনের আওতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ মাদক রোধ আইনের একাধিক ধারা প্রয়োগ করেছে এনসিবি।

চার বছর ধরে মাদক নিতেন, নিজেই জেরায় জানিয়েছেন আরিয়ান। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন দুবাই ও ব্রিটেনে থাকাকালীনও তিনি নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মুম্বই থেকে বাইরে কোথাও গেলে লুকিয়ে মাদক নিয়ে যেতেন।

বিলাসবহুল পার্টিতেও বন্ধুদের সঙ্গেও মাদকের আসর বসত। গোয়াগামী প্রমোদতরীতে নিজের লেন্সের বক্সে লুকিয়ে মাদক নিয়ে যাচ্ছিলেন আরিয়ান খান প্রায় ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২ টি এমডিএমএ পিল ও ৫ গ্রাম এমডি পাওয়া গিয়েছে তার কাছ থেকে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মাদক লুকানোর অভিনব কায়দা বের করেছিলেন সকলে। মহিলাদের স্যানিটারি প্যাড, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যে ও ওষুধের বাক্সে মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এত মাদক কোথা থেকে ও কীভাবে এল তার তদন্ত করছে এনসিবি।