সঙ্গীতশিল্পী পিলু ভট্টাচার্য

পিলু ভট্টাচার্য (Photo: Facebook@pilu.bhattacharya)

প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী পিলু ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু ঘটে তার। পিলু ভট্টাচার্যের অকালপ্রয়াণে শােকবিহ্বল তার পরিবার। পিলু ভট্টাচার্যের ছেলে ঋতর্ষি ভট্টাচার্য সােস্যাল মিডিয়ায় তার বাবার মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছেন।

সঙ্গীত জগতেও শােকের ছায়া নেমে এসেছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পীর প্রয়াণে। পিলু ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শােকপ্রকাশ করে সঙ্গীতশিল্পী জোজো লিখেছেন, ‘পিলু এটা ঠিক হল না বন্ধু’। পরিচালক রিঙ্গো লিখেছেন, “ওপারে তােমার সঙ্গে দেখা হবে’।

শিল্পীর পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার দরুণ তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। তবে কিছুদিন আগেই সুস্থ হওয়ায় তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। বাড়িতেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলছিলেন পিলু ভট্টাচার্য।


বলতেন, করােনাকে হারিয়ে দিয়েছি, আমি জিতবই। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে হারিয়ে গেলেন চিরতরে। উত্তর কলকাতার মানুষ পিলু ভট্টাচার্য কেরিয়ারের প্রথম দিকে স্ট্রাগল করলেও পরবর্তী সময়ে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

একের পর এক হিট গানে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। বাংলা ছবিতেও প্লে ব্যাক করেছেন সাফল্যের সঙ্গে। মজার গানের জন্য পিলু ভট্টাচার্য বাংলা গানের জগতে জায়গা করে নিয়েছিলেন। প্যারােডি গানেও তার জুড়ি মেলা ভার ছিল। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন শিল্পী পিলু ভট্টাচার্য।

২০০৭ সালে তাঁর ‘রাধামাধব’ অ্যালবামটি শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়। গানের পাশাপাশি খেলাও ভালােবাসতেন পিলু ভট্টাচার্য। ২০০৯ সালে ভারতীয় দলের জন্য ‘ইন্ডিয়া জিতেগা’ গানটি গেয়েছিলেন। পরে সেই গানটি হিন্দিতেও গেয়েছিলেন।

দিয়েগাে মারাদোনার সামনেও গান গেয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন। একসময় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা পিলু ভট্টাচার্য বিধানসভা ভােটের আগে বিজেপিতে যােগ দিয়েছিলেন।