সত্য ও মূল্যবোধের প্রতিফলন করবে ‘মিত্তির বাড়ি’

বর্তমান সময়ে যখন পরিবারগুলো ভাঙতে ভাঙতে মাইক্রো ফ্যামিলিতে টুকরো হয়ে যাচ্ছে, সেই সময় দাঁড়িয়ে এক যৌথতার গল্প বলতে হাজির প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এনআইডিয়াস ক্রিয়েশনস অ্যান্ড প্রোডাকশনস প্রযোজিত  এবং সুজিত পাইন পরিচালিত ‘মিত্তির বাড়ি’। ২৫ নভেম্বর, সোমবার থেকে শনিবার রাত ৯টা থেকে জি বাংলায় সম্প্রচারিত হওয়া শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক।

একটি যৌথ পরিবারের দৃঢ় বন্ধন এবং শিকড়ের উৎসে ফিরে আসার গুরুত্বই গল্পের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পাবে। সম্পর্কের বুনিয়াদ ও পারিবারিক আবেগ, যা হৃদয়কে স্পর্শ করবে, এমনই এর কাহিনী। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে  ঐতিহ্যমণ্ডিত  ‘মিত্তির হাউস’, যার জাঁকজমক বর্তমানে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বনেদি মেজাজটা আজও বর্তমান।

পরিবারের ম্লান হয়ে যাওয়া সম্পর্ককে মেরামত করতে ‘জোনাকি’র প্রচেষ্টা, আশার আলো দেখায়। জোনাকিই গল্পের কেন্দ্রে থাকা সেই তরুণী, যার প্রয়াস কেবল বাড়িটা ঠিক করার জন্য নয়, পরিবারের সদস্যদের আরও কাছাকাছি আনার জন্যও। এটি সম্পর্কের উত্থান-পতন  আর পুনরায় সকলে মিলেমিশে থাকার একটি আন্তরিক গল্প, যা দর্শকদের মধ্যে উষ্ণতা এবং একাত্মতার অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে।
জোনাকির চরিত্রে রয়েছেন পারিজাত চৌধুরী। জোনাকি অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং সহানুভূতিশীল মেয়ে, যে তার মায়ের কারাবাসের নেপথ্যের সত্যটি উন্মোচন করার জন্য বদ্ধপরিকর। এই অণ্বেষণই তাকে মিত্তির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে ধ্রুবর মুখোমুখি হয়, যিনি একজন নীতিনিষ্ঠ আইনজীবী এবং প্রবল সত্যনিষ্ঠ। মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, দু’জনে ধ্রুবর ভেঙে পড়া বাড়িটি তার বর্তমান মালিকদের দ্বারা বিক্রি হওয়া আটকাতে সক্রিয় হয়। ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন  দুলাল লাহিড়ী, অনুরাধা রায়, শঙ্কর চক্রবর্তী, মানসি সিনহা, সোনালী চৌধুরী, অনন্যা ব্যানার্জি প্রমুখ। 


‘মিত্তির বাড়ি’র জন্য সেট ডিজাইন করেছেন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী শিল্প নির্দেশক আনন্দ আঢ্য। ‘করুণাময়ী রানি রাসমণী’ এবং মিঠাই-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকের পর এবার এই ধারাবাহিকের জন্য গল্প লিখেছেন শাশ্বতী ঘোষ। ধারাবাহিকের থিম গানটি লিখেছেন গীতিকার প্রিয় চট্টোপাধ্যায়, সুর করেছেন জয় সরকার এবং গেয়েছেন অন্বেষা।