দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী 

দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে একথা ঘোষণা করেন। বর্ষীয়ান অভিনেতাকে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।  

অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেছেন, কলকাতার রাস্তা থেকে সিনেমার তারকা; মিঠুন দা’র অসাধারণ জার্নি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে! ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অভাবনীয় অবদানের জন্য কিংবদন্তি অভিনেতা শ্রী মিঠুন চক্রবর্তীজিকে দাদাসাহেব ফালকে সিলেকশন জুরি পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ৮ অক্টোবর ৭০-তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে বর্ষীয়ান অভিনেতার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

মিঠুন চক্রবর্তী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, সত্যি বলছি, আমি কিছু বলার মতো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি হাসতেও পারছি না, আবার খুশিতে কাঁদতেও পারছি না। কলকাতার এক ছোট্ট রাস্তা থেকে, ফুটপাত থেকে লড়ে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি, আমার জন্য এত বিরাট সম্মান, আমি ভাবতেও পারছি না। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। আমার পরিবার-পরিজন এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অনুরাগীদের এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি।  


মৃণাল সেনের মৃগয়া (১৯৭৬) দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মিঠুন। মৃগয়ার জন্য তিনি সেরা অভিনেতা বিভাগে তাঁর প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। দেশের মধ্যে ছাড়াও বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয় মৃগয়া। ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার মুক্তি পাওয়ার পর মিঠুনকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এশিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক এবং আফ্রিকায় ভালো ব্যবসা করেছিল এই সিনেমা। 

তাঁর অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলি হল – ‘অগ্নিপথ’, ‘মুঝে ইনসাফ চাহিয়ে’, ‘হাম সে হ্যায় জামানা’, ‘পসন্দ আপনি আপনি’, ‘ঘর এক মন্দির’ এবং ‘কসম পাইদা করনে ওয়ালে কি’। সম্প্রতি ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’-এর মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী। 

পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হওয়ার কয়েক মাস পরেই মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন। চলতি বছর এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে পদ্মভূষণ গ্রহণ করেছিলেন মিঠুন। সেই সময় মিঠুন জানিয়েছিলেন, আমি খুব খুশি। আমি জীবনে কখনো কারও কাছে নিজের জন্য কিছু চাইনি। যখন আমায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ফোন করে জানানো হল, আমাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে, আমি এক মিনিটের জন্য নীরব ছিলাম। এটা অবিশ্বাস্য, আমি ভাবতেও পারিনি।