বলিউডের রূপােলি পর্দার ঝা চকচকে জগতের বাইরে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনের মূল্যবোধ, শিক্ষা-দীক্ষাও যে সাধারণ পাঁচটা মানুষের মতাে হতে পারে করিনার সাক্ষাৎকারে তেমনই আভাস পাওয়া গেল। একদিকে বলিউডের কাপুর পরিবার, অন্যদিকে পতৌদির রাজপরিবার তৈমুর ও জাহাঙ্গীরের পারিবারিক পরিচিতি এটা হলেও সঈফ ও করিনা তাদের দুই সন্তানকে ধনৈশ্বর্যের মধ্যেও সাধারণভাবে বড় করে তুলছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করিনা। জানিয়েছেন,’ আমি চাই আমার দুই পুত্র সন্তান ভদ্র, সভ্য, সুপুরুষ, দয়ালু। হয়ে উঠুক, যাতে লােকে ওদের দেখে বলে ভালাে শিক্ষা ও পরিবেশে। ওরা বেড়ে উঠেছে আমি চাই মানুষ ওদের দেখে এটা বলবে, তাহলে আমি ভাবব ছেলেদের ভালাে করে মানুষ করতে আমি সফল হয়েছি। আমি চাই ওরা পড়ে গিয়ে নিজেরা উঠে দাঁড়াতে শিখুক, তাহলে ওরা মাটিতে পা রেখে চলতে পারবে।
আমার মা আমাকে এটা শিখিয়েছিলেন। তিনি বলতেন তােমার যেটা করতে ইচ্ছা করছে সেটা কর, ভুল কর, সেই ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে পারবে। এভাবেই মানুষ নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বড় হয়। আমিও ছেলেদের সঙ্গে এরকমভাবেই চলি। তৈমুর এখন অনেক বেশি সতর্ক যদি কোনও ভুল করে তাহলে আমি বলি তুমি নােংরা করেছ, তুমি পরিস্কার করবে।
জেহ খুব ছােট্ট, কিন্তু ওরা এভাবেই শিখবে। ছেলেদের কেরিয়ার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে করিনা জানান, আমি চাই না ওরা মুভি স্টার হােক। আমি খুশি হব যদি তৈমুর এসে আমাকে বলে সে মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে চায় বা সেই রকম কিছু করতে চায়। আমি ওদের পাশে থেকে ওদের ইচ্ছাকে সমর্থন করতে চাই।
জেহ খুব বেশি হলে ছ’মাস বয়স হবে, কিন্তু ওকে একদম আমার মতাে দেখতে। তৈমুর’কে ওর বাবার মতাে দেখতে তৈমুরের মধ্যে সঈফের ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। ও সাংঘাতিক ছবি আঁকতে ভালােবাসে, রঙ খুব পছন্দ করে।
তৈমুরের মধ্যে সৃজনশীলতার আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠছে। খুব ঘুরতে ভালােবাসে সবকিছু সম্পর্কে জানতে চায়। জেহ একদম ছােট্ট, দেখা যাক ও বড় হয়ে কেমন হয়’।