একটি রহস্যমৃত্যু এবং নানা অভিঘাতের ছবি ‘কাল্পনিক’

কলকাতা জুড়ে যখন আসন্ন ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি, ঠিক তখনই নানা ছবি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সিনে লাভারদের মধ্যে। বেশ কিছু নতুন ছবির প্রিমিয়ারও হতে যাচ্ছে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে। তেমনই একটি ছবি হল ‘কাল্পনিক’।

বাস্তব আর অলৌকিকতাকে এক সূত্রে গেঁথে তৈরি হয়েছে এই বাংলা কাহিনীচিত্রটি। ‘কাল্পনিক’-এর গল্পের পটভূমি চক্রপাণিপুরের এক অখ্যাত গ্রাম আসারু। যেখানে প্রায় ঘটনাচক্রেই পৌঁছে যায় সাংবাদিক মৈথিলী। সত্য অন্বেষণের জন্য, বা বলা ভালো অপ্রিয় সত্য উদঘাটনের জন্য সাংবাদিক হিসেবে যখন সে বেশ কোণঠাসা, তেমনই একটা সময়ে এই গ্রামটিতে এসে এক আশ্চর্য ঘটনার পর্দা উন্মোচন করে ফেলে সে।

‘কাল্পনিক’ সিনেমার একটি দৃশ্য।

তার আসার আগের দিনটিতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়, ওই গ্রামেরই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দেবারি রক্ষিতের। এদিকে গ্রাম জুড়ে একটি প্রাচীন মন্দিরকে ঘিরে  অদ্ভুত সব মিথ কানে আসে মৈথিলীর। সেগুলির কতটা সত্য কতটাই বা কাল্পনিক, সেই বিশ্লেষণে না গিয়েও ক্রমশ সে বুঝতে পারে ওই মন্দিরের সঙ্গে এই রহস্যময় মৃত্যুর কোথাও একটা যোগসূত্র আছে। ক্রমশ ঘটনার শিকড়ে পৌঁছতে বদ্ধপরিকর সে।


এর পর জট ছাড়ানোর পালা। তবে কি ধর্মীয় আচার আর অলৌকিকত্বকে সামনে রেখে এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আর হত্যারই শিকার হয়েছেন দেবারি?

‘কাল্পনিক’ সিনেমার পোস্টার।

উত্তর খুঁজতে হলে আসতে হবে ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। প্রতিযোগিতামূলক বেঙ্গলি প্যানোরামা বিভাগে নির্বাচিত ছবিটি দেখানো হবে ৫ ডিসেম্বর রবীন্দ্র সদনে সন্ধ্যা ৬.৩০-এ এবং পুনরায় ১০ ডিসেম্বর নজরুল তীর্থ ২ প্রেক্ষাগৃহে বিকেল ৫টায়।

‘কাল্পনিক’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন অর্ক মুখোপাধ্যায় ও অমৃতা চক্রবর্তী। পরিচালক ও লেখকও অর্ক মুখোপাধ্যায়। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার নীল মুখার্জি। অভিনয়ে রজতাভ দত্ত, শতাক্ষী নন্দী, সাহিদুর রহমান, সায়ন ঘোষ এবং অন্যান্যরা।