মজাদার সিরিজ ‘বাঁড়ুজ্জে ফ্যামিলি’

অক্টোবর মাস থেকেই এই মেগা সিরিজটি দেখানো শুরু হয়েছে ওটিটি ক্লিক-এ। একটি করে মজাদার কমেডি এপিসোড, ধারাবাহিকভাবে, প্রতি সপ্তাহে, আগামী কয়েক মাসের জন্যে দেখানো শুরু হয়েছে। সিরিজটি কলকাতার মধ্যবিত্ত বাঁড়ুজ্জ্যে পরিবারকে কেন্দ্র করে। ব্যানার্জী পরিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বিল্ডিংয়ের দুটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। প্রতিটি এপিসোড মজার ছলে তাদের দৈনন্দিন সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যাগুলি তুলে ধরে।

বিধান এবং কল্যাণী বাঁড়ুজ্জ্যে, ৩৪ বছরের বিবাহিত দম্পতি, বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভক্ত কল্যাণী। শান্ত কিন্তু রাশভারী, পরিবারের কর্ত্রী, যেখানে উল্টো দিকে তার স্বামী বিধান ব্যানার্জী, মারদাঙ্গা সিনেমার ভক্ত, মুখে কোনো লাগাম নেই, এবং ততোধিক কিপটে।

তাদের বড় ছেলে অরুণ কর্পোরেট জগতে কাজ করে এবং পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষণ ও স্বাভাবিক। তার স্ত্রী, সিমরন, একটি গোঁড়া পাঞ্জাবি পরিবার থেকে এই বাড়ুজ্জ্যে বাড়িতে প্রেম করে বিয়ে হয়ে এসেছে এবং তার সাংস্কৃতিক পার্থক্যগুলো কল্যাণীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই ‘সাস-বহু’ (শাশুড়ি বনাম বউ) নাটক তৈরি করে।
তাদের দশ বছর বয়সি মেয়ে, গুরকিরণ, একজন ব্লগার, যাকে সবাই ভালোবাসে, যদিও কল্যাণী তার পাঞ্জাবি নামটা বিশেষ পছন্দ করে না। সবশেষে রয়েছে ছোট ছেলে বরুণ, বা ব্যারি, যে আবার কল্যাণীর সবচেয়ে প্রিয়। এবং সে নিজেকে একজন র‍্যাপার বলে মনে করলেও পরিবারের বাকিরা তা মনে করে না এবং র‍্যাপ ছাড়া আর কিছু সে করে উঠতেও পারে না।


বাঁড়ুজ্জ্যে পরিবারের যাবতীয় কর্মকাণ্ড এই ক’জন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। প্রতিটি এপিসোড একটি নতুন সমস্যা নিয়ে শুরু হয় এবং শেষে তা সমাধান হয়। প্রতিটি এপিসোডে দর্শকদের জন্য প্রতি সপ্তাহে নতুন এবং মজাদার গল্প উপস্থাপন করা হবে। পরিচালক সুমাল্য ভট্টাচার্য মনে করেন জীবন থেকে উঠে আসা প্রতিটি গল্পই দর্শকরা খুব উপভোগ করবেন।

‘বাঁড়ুজ্জে ফ্যামিলি’ প্রথমবারের মতো এমন একটি হাস্যকৌতুকে ভরা পারিবারিক কাহিনি মেগা সিরিজ ধারায় প্রস্তুত করা হয়েছে। যা এর আগে কোনো ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কখনও দেখা যায়নি। ক্লিক ওটিটি সবসময়ই নতুন এবং অভিনব কনটেন্ট দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।