• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

 শিল্পা শেট্টি-রাজ কুন্দ্রার প্রায় ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

মুম্বাই, ১৮ এপ্রিল –  অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী তথা ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার প্রায় ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এর মধ্যে অভিনেত্রীর জুহুর ফ্ল্যাটও রয়েছে। মুম্বাইয়ের জোনাল অফিসের তরফে রাজ কুন্দ্রার সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী। এই ৯৮ কোটির সম্পত্তির মধ্যে তাঁরা যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেই

মুম্বাই, ১৮ এপ্রিল –  অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী তথা ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার প্রায় ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এর মধ্যে অভিনেত্রীর জুহুর ফ্ল্যাটও রয়েছে। মুম্বাইয়ের জোনাল অফিসের তরফে রাজ কুন্দ্রার সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী। এই ৯৮ কোটির সম্পত্তির মধ্যে তাঁরা যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেই ফ্ল্যাট, পুনের বাংলো, ইকুইটি শেয়ারের মতো বিভিন্ন সম্পত্তি রয়েছে।
 
আর্থিক তছরুপ আইন বা পিএমএলএ অ্যাক্ট ২০০২-র অধীনে বিটকয়েন সংক্রান্ত প্রতারণা মামলায় শিল্পা শেট্টি-রাজ কুন্দ্রার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ৯৭.৭৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।সূত্রের খবর, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে  মেসার্স ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই ইডি তদন্ত শুরু করে। মামলায় নাম জড়ায় অমিত ভরদ্বাজ, অজয় ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ ও মহেন্দর ভরদ্বাজের।  অভিযোগ, এই অভিযুক্তরা বিটকয়েনের মাধ্যমে বিপুল টাকা আদায় করেছিল।  মহারাষ্ট্র পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের কাছে নথিভুক্ত হওয়া একাধিক এফআইআর-এর ভিত্তিতে ইডি তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা বিটকয়েনের আকারে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ রিটার্নের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিল।

 

ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা অমিত ভরদ্বাজের কাছ থেতে ২৮৫টি বিটকয়েন পেয়েছিল। ইউক্রেনে একটি বিটকয়েন মাইনিং ফার্ম তৈরি করার জন্যই রাজ কুন্দ্রা বিটকয়েনের মাধ্যমে এই টাকা পেয়েছিল। রাজ কুন্দ্রার কাছে থাকা ওই ২৮৫টি বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য ১৫০ কোটি টাকারও বেশি।

এর আগে, এই মামলায় একাধিক তদন্ত অভিযান চালানো হয়েছিল এবং ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর সিম্পি ভরদ্বাজ, ২৯ ডিসেম্বর নিতিন গৌর এবং গত বছরের ১ জানুয়ারি নিখিল মহাজন নামক ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা সকলেই বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।