দুই বাংলায় এখন নানান সমস্যার সম্মুখীন। ফলে দুই দেশের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনেও এখন ভাটার টান। শিল্প ও সাংস্কৃতিক কাজ কর্মেও আন্তর্জাতিক নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর সেই প্রভাব পড়তে চলেছে এবার টলিউডে। প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরীর আগামী ছবিতে দেবের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে বাছা হয়েছিল বাংলাদেশের উঠতি অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিনকে। কিন্তু তাঁর ভিসাজনিত সমস্যার কারণে এবার নায়িকা বদল করতে চলেছেন প্রযোজক।
মাস খানেক আগের কথা। কলকাতার একটি প্রথম শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যমকে প্রযোজক জানিয়েছিলেন, রোজ কথা হচ্ছে ফারিনের সঙ্গে। আগস্টে কলকাতায় আসার কথা ছিল বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর। এখানে বসে ছবির চিত্রনাট্য শোনার কথা ছিল ফারিনের। এরপরই শুরু হওয়ার কথা ছিল শ্যুটিংয়ের মহড়া। কিন্তু সেসময় কোটা আন্দোলনের কারণে তিনি ভারতে আসতে পারেননি। কিন্তু মাঝপথে সব বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
যদিও তখনও আশা ছাড়েননি এই ছবির নির্মাতারা। তাঁরা ভেবেছিলেন, নভেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে। ফলে তখন থেকেই শ্যুটিং শুরু করা যাবে। কিন্তু মাঝপথে সেপ্টেম্বরেই ঘটল ছন্দপতন। সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়েছেন ছবির নির্মাতারা। প্রযোজক অতনু বলেন, ‘আমাদের পাশাপাশি তাসনিয়াও ওর তরফ থেকে চেষ্টা করেছিল, যাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে। কিন্তু, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ পালাবদল চলছে। এমনিতেই ভিসা পেতে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এখন সেই প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে গিয়েছে। ফলে, তাসনিয়া আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারছে না। ওর মতো আমরাও অত্যন্ত ব্যথিত।’
ইতিমধ্যে ছবির চিত্রনাট্য তৈরি থাকলেও নতুন নায়িকা কাকে করা হবে সেবিষয়ে চলছে কানাঘুষো। নেটিজেনদের মধ্যে কানাঘুষো চলছে, এই ছবির নতুন নায়িকা কি তাহলে কলকাতা না বলিউড থেকে বাছাই করা হবে? যদিও এই ছবির নায়ক দেব, পরিচালক অভিজিৎ সেন এবং প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরী কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। তবে নায়িকা ঠিক হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে ছবির শ্যুটিংয়ের কাজ। জানা গিয়েছে, এই ছবির শ্যুটিং শুরু হবে লন্ডনে। পাশাপাশি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন।