নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ, ‘ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট’

একটি সাত পর্বের নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ, ‘ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট’, নিয়ে হাজির বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে এবং সত্যাংশু সিং। বেশ আকর্ষণীয় দৃশ্য দিয়ে শুরু হয় সিরিজটি। প্রথম সাত মিনিট প্যারালাল এডিটিংকে কাজে লাগানো হয়, যেখানে সুনীলকে (জাহান কাপুর) দুটি স্বতন্ত্র প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হয়। একটি যেখানে সুনীল দিল্লির তিহার জেলে কারারক্ষকের পদের জন্য আবেদন করেন। অন্য ভূমিকাটিতে তাঁকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পুরু গোঁফ লাগিয়ে। সেই দৃশ্যে দেখা যায়, তাঁর পরিবার তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করছেন। ইন্টার-কাট এত সূক্ষ্মতার সঙ্গে সম্পাদিত হয়ছে যে- এটি কেবল সুনীলের ব্যক্তিগত ইতিহাসই প্রকাশ করে না বরং এই দেশের অগণিত চাকরিপ্রার্থীদের মতোই, তাঁর চাকরির প্রয়োজনের কথাও প্রতিষ্ঠা করে।

তিহাড় জেলের প্রাক্তন জেলার সুনীল গুপ্ত ১৯৮০-র দশকে তাঁর কারাগারের দায়িত্বে থাকাকালীন নানা বাস্তব ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। পরে সাংবাদিক সুনেত্রা চৌধুরীর সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছিলেন একটি বই, যার শিরোনাম ছিল ‘ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট- কনফেশনস অফ আ তিহাড় জেলার’। এবার সেটিকে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে এই সিরিজ।

এতে টানটান উত্তেজনা আছে বটে, কিন্তু অতি নাটকীয়তা নেই। ফলে সাতটি পর্বের মধ্যে দিয়ে আমরা তিহাড়ের অতি কদর্য রূপটিই দেখতে পাই। কারাগারের কুখ্যাত বন্দিদের মধ্যে বিল্লা-রাঙ্গা, মকবুল ভট, চার্লস শোভরাজ এবং আরও কিছু কুখ্যাত অপরাধীর জীবনের ঝলক উঠে আসবে। রাহুল ভট, পরমবীর সিং চিমা, সিদ্ধান্ত গুপ্ত এবং অনুরাগ ঠাকুর-সহ একাধিক কাস্ট সমৃদ্ধ এই শো, ইতিমধ্যেই দর্শক টানছে। সিরিজে সিদ্ধান্ত, চার্লস শোভরাজের চরিত্রে অভিনয় করছেন। ‘সেক্রেড গেমস’-এর স্রষ্টা বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে, নেটফ্লিক্সে পুনরায় তাঁর প্রত্যাবর্তনকে চিহ্নিত করলেন এই সিরিজের মাধ্যমে।