দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিষ্ণোই দলের নিশানায় বলিউডের ‘ভাইজান’ সলমন খান। একসময় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই বিষ্ণোই দলের নিশানায় ভাইজান। দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকিও। শুধুমাত্র, ভাইজানই নয় বিষ্ণোই দলের নিশানায় সলমনের ঘনিষ্ঠরাও। যার জেরে ১২ অক্টোবর বিষ্ণোই দলের নিশানায় প্রাণ হারাতে হয় প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। তাঁর খুনের ঘটনার কিনারা করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারেন বিষ্ণোইদের পাঠনো আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। তিনি সলমন ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই তার এই পরিণতি ঘটে বলে দাবি পুলিশের। আর তারপর থেকেই নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে ভাইজানের।
সলমন খানকে খুন করাই যে তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য, তা স্পষ্টত জানিয়েছেন গোষ্ঠীর প্রধান লরেন্স বিষ্ণোই। একের পর এক খুনের হুমকি দেওয়া হয় সলমনকে। এমনকি কদিন আগেই ভাইজানের বাড়ির সামনে বিষ্ণোই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।
তবে বিষ্ণোই দলের হুমকি থেকে রক্ষাও পেতে পারেন ভাইজান। কীভাবে ? লরেন্স বিষ্ণোই দিলেন সেই উপায়। এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোইকে প্রশ্ন করা হয়, ‘কোন উপায়ে বিষ্ণোই গোষ্ঠীর কোপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন সলমন?’ তার উত্তরে লরেন্স বিষ্ণোই একটি শর্ত রাখেন সলমনের উদ্দেশ্যে। সেই শর্ত যদি সলমন মানেন, তবে তাঁকে ক্ষমা করতে পারে বিশ্নোই গোষ্ঠী।
কী সেই শর্ত?
লরেন্স বিষ্ণোই জানান, তাদের গোষ্ঠীর একটি মন্দির আছে। মন্দিরের নাম মুকাম মুক্তধার মন্দির। সেখানে এসে যদি সলমন খান কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগে ক্ষমা চান এবং তাঁর ভুল স্বীকার করেন, তবেই তাঁকে ক্ষমা করতে পারে, এমনটাই জানালেন লরেন্স বিষ্ণোই। পাশাপাশি তিনি জানান, সলমন খানকে মন্দিরে এসে এও বলতে হবে, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার ঘটনার জেরে মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।
নিজের প্রাণ রক্ষার্থে এবং নিজের পরিজনদের কথা ভেবে ভাইজান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের এই শর্তে রাজি হবেন কিনা এখন সেটাই দেখার।