এশিয়ান ছবি নিয়ে আলাদা করে ভালোলাগা তৈরি হয়েছে ,সাম্প্রতিক সময়ের দর্শকদের মধ্যে। ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চিনের ছবি দর্শকদের ভালো লাগছে। বিশেষ করে নজর কেড়েছেন দুই নির্দেশক, ওয়ান বো এবং জিয়া ঝাংকে। দু’জনেই সেলুলয়েডে উপাখ্যান বুনেছেন তাঁদের নিজস্ব আঙ্গিকে।
ওয়ান বো-র ছবি ‘কিয়ান তাং রিভার’। চেচিয়াং প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শক্তিশালী এবং জোয়ারের জন্য কুখ্যাত নদী কিয়ান তাং-কে ঘিরে তৈরি। গল্পটিতে একজন যুবককে দেখা যায় যে, আত্মহত্যা করতে চেয়ে, জোয়ারে ভেসে একটি গ্রামে এসে উপস্থিত হয়। জোয়ারের বন্যায় বারবার বানভাসী হওয়া বিপর্যস্ত গ্রামবাসীদের সংগ্রাম এবং বাঁচার জন্য মরীয়া হয়ে, একটি বাঁধ নির্মাণের সাক্ষী হয় সে।
ওয়ান বো-র ক্যামেরা অধিকাংশ সময়ই লং শটের ম্যাজিকে আচ্ছন্ন করে দর্শককে। জলরঙে আঁকা ছবির মতো প্রতিটি শট আর ধীরে দীরে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো গল্প বলার ধরন- ছবিটিতে আলাদা মাত্রা যোগ করে। নন্দন ২ তে ৫ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হয় এই ছবি।
অন্য দিকে জিয়া ঝাংকের ‘কট বাই দ্য টাইডস‘ ছবিতে রয়েছে, সময়ের জোয়ারে ভাসমান এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দুটি মানুষের গল্প- কিয়াও কিয়াও এবং বিন। বিন ভাগ্য অন্বেষণে হঠাৎ একদিন উধাও হয়ে যায়। কিয়াও কিয়াও তাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। নির্দেশক জিয়া, মহামারি চলাকালীন শহরের জনশূন্য রাস্তাগুলি এবং জীবনমরণের অনিশ্চয়তাকে ফুটিয়ে তোলেন, যেখানে এই বিচ্ছিন্ন দম্পতি অবশেষে পুনরায় মিলিত হয়। যদিও এই যুগলের উপলব্ধি হয় যে, বহির্বিশ্ব এবং তাদের সম্পর্কে একটা বড় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কেমন যেন আলাদা আলাদা সব! বহু দৃশ্যে একটি শব্দও না বলে, তাদের যাত্রার মর্মস্পর্শী বর্ণনা- অভিভূত করে। ‘কট বাই দ্য টাইডস‘-এর কান প্রিমিয়ার হয়েছিল। কলকাতার মানুষ এই ছবিটি দেখতে পাবেন ৯ তারিখ গ্লোব সিনেমায়।