রবিবার সকালে গ্রেফতার হলেন বলিউড অভিনেতা আরমান কোহলি। টানা ১২ ঘণ্টা জেরা করার পর তার কথায় অসঙ্গতি মেলায়, কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা এনসিবি গ্রেফতার করে তাকে রবিবারই অভিনেতাকে আদালতে তােলার কথা।
আরমানের মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। মুম্বইয়ের মাদক চক্রের হদিশ পেতে এনসিবি তপুর হয়ে উঠেছে। জোর কদমে চালাচ্ছে তদন্তও।
মাদক কাণ্ডে ধৃত কয়েক জনকে জেরা করে আরমান কোহলির জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। গােপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার অভিনেতার আন্ধেরির বাড়িতে যান এনসিবি আধিকারিকরা। তার বাড়িতেই তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় কোকেন।
এরপরই অভিনেতাকে জিজ্ঞেসাবাদ শুরু করে তদন্তকারীরা। টানা ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের কোহলিকে রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুম্বইয়ে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানান, মাদককাণ্ডের তদন্তে যথাযথ ভাবে প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি অভিনেতা।
সূত্রের খবর, অভিনেতার কাছে মাদক কিভাবে এল, মাদক কাণ্ডে তার যােগসাজসই বা কি সেই সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ২০১৩ সালে ‘বিগবস-৭’ এর প্রতিযােগী হিসাবে তিনি নিজের পরিচিতি গড়ার চেষ্ট করেন। সেখানে কাজলের বােন তনিশার সঙ্গে তার একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
‘বিগবস’-এর আরেক প্রতিযােগী সােফিয়া হায়াত তার বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযােগ আনেন। গ্রেফতার করা হয় আরমানকে। পর দিনই জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। ২০১৩ সালে ১২ ডিসেম্বর তিনি বিগবস থেকে বেরিয়ে যান। অল্পদিনে তনিশার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
২০১৫ সালে ফ্যাশন স্টাইলিস্ট নীরুয়ান ধাওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আরমানের। দুজনে একসঙ্গে থাকতেনও। তবে ২০১৮ সালে প্রেমিকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযােগে আইনের দ্বারস্থ হন নীরু। সেবারও আইনের জালে জড়ান অভিনেতা।