বয়সকে বুড়ো আঙুল

এক ফালি জীবন-কে চেটেপুটে খাওয়ার নামই বোধহয় ‘বিজয় ৬৯’। জীবনরসে ভরপুর একশো শতাংশ বিনোদনের রসদ নিয়ে ৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হাজির হচ্ছে ছবিটি। নেটফ্লিক্স এবং যশ রাজ ফিল্মস (ওয়াইআরএফ ) এন্টারটেইনমেন্টের উপস্থাপনায়, এ ছবি বয়সকে অস্বীকার করার একটি অনুপ্রেরণামূলক জার্নি।

অক্ষয় রায় রচিত ও পরিচালিত এবং ওয়াইআরএফ এন্টারটেইনমেন্টের তরফে মনীষ শর্মা প্রযোজিত, অনুপম খের অভিনীত এই হৃদয়গ্রাহী ছবিটি দেখা যাবে নেটফ্লিক্সে।

এ যেন এমন এক জগতের গল্প যেখানে স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করার পথে বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ‘বিজয় ৬৯’ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আসলে কোনও বয়সসীমার তোয়াক্কা করে না। ছবির কেন্দ্রে রয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা অনুপম খের। দ্য রেলওয়ে মেন, দ্য রোমান্টিকস এবং মহারাজের সাফল্যের পরে, ‘বিজয় ৬৯’–এর উপস্থাপনার মাধ্যমে, নেটফ্লিক্স এবং ওয়াইআরএফ এন্টারটেইনমেন্ট, চতুর্থবার যৌথভাবে কাজ করছে।


‘বিজয় ৬৯’ চলচ্চিত্রটি একটি অবশ্যই দেখার মতো পারিবারিক বিনোদনমূলক ছবি, যা সমস্ত বয়সের দর্শকদের অনুপ্রাণিত করবে। কখনও না হওয়ার চেয়ে দেরিতে ভালো-এই বার্তাই সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছে এই ছবি।

অনুপম একটি ট্রায়াথলন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামাজিক সমালোচনা আর বয়সকে পাত্তা না দিয়ে, নিজের ইচ্ছেপূরণ করেন। তাঁর অভিনয় করা চরিত্রটির কৌতুকপূর্ণ আচরণ যেন একাধারে হাস্যরস এবং আবেগের সংমিশ্রণে তৈরি।

এই সিনেমা সম্পর্কে অনুপম খের বলেন, ‘বিজয় ৬৯ শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, এটি আবেগ, অধ্যবসায় এবং অটল মানসিক চেতনার দৃষ্টান্ত। বয়স কখনওই আমাদের স্বপ্ন অনুসরণের পথে বাধা নয় বরং তা জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে নতুন করে চেনার সুযোগ দেয়। এই চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য খুবই অনুপ্রেরণার। বয়স যা-ই হোক না কেন, মানুষের সাফল্যের সম্ভাবনা কিন্তু সীমাহীন।’