নাচ গান অ্যাকশন, পুরনো ফর্মে দেব। পুরোপুরি কর্মাশিয়াল ছবি খাদান। রিমেক নয়। নতুন গল্প। ছবি মুক্তির আগে দেবযানী লাহা ঘোষ-এর সঙ্গে দেবের কথাবার্তা।
প্রথম ঝলক থেকেই টানটান উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে ‘খাদান’ ছবিকে কেন্দ্র করে। কী বলবেন?
লকডাউন থেকে আমি ছবিটা নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। এবার দর্শকদের দেখার পালা। আমি সবসময়ই নতুন কিছু করতে চাই। আমি ‘প্রধান’ করেছি, ‘টনিক’ করেছি, দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। ‘খাদান’-এ সেই পুরনো দেব নতুন রূপে।
ছবির একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে যিশু সেনগুপ্তকে বাছার কারণ কী?
আমি যখন এই গল্পটা শুনি তখনই ঠিক করি মোহন দাস চরিত্রে যিশুদাকেই চাই। এখানে প্রত্যেকের চরিত্রের দুটো করে লুক আছে। যিশুদা যেহেতু মুম্বই-সাউথ করে, তাই কিছুতেই ডেট পাচ্ছিলাম না । তারপরে একদিনের জন্য কলকাতায় আসে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে গল্পটা শোনাই। এক কথায় হ্যাঁ বলে দেয়।
‘খাদান’ গল্পে উঠে এসেছে কয়লাখনি অঞ্চলের শ্রমিকদের জীবন এবং তাদের রাজনৈতিক বিষয়বস্তু। ওঁদের জীবনযাত্রা কীভাবে রপ্ত করলেন?
প্রতিটা ছবির আলাদা আলাদা চরিত্র থাকে। গল্পটা একটা কোলিয়ারি অঞ্চলকে ঘিরে এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রাটা একটু আলাদা। তবে খুব বেশি রিয়ালিস্টিক না হলেও, আমি ফিকশনের মতো করে তাদের জীবনযাত্রাটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ওই টোনে কথাবার্তা বলা, তাদের চলাফেরার কিছু স্টাইল রপ্ত করার চেষ্টা করেছি।
বিড়ি খাওয়ার স্টাইলটা কিন্ত দারুণ হয়েছে!
এখানকার মানুষদের বিড়ি ধরানোর একটা স্টাইল আছে। বিড়িটা মুখে নিয়ে এভাবে ধরানো, আবার জ্বলন্ত বিড়ি মুখের মধ্যে ঢোকানো, আবার জিভ দিয়ে ঠেলে বার করা। এটা করতে গিয়ে কতবার যে জিভ পুড়েছে, ঠোঁট পুড়েছে। কিন্তু পরিশ্রমটা সাকসেস এটা মানুষের ভালো লাগছে দেখে।
‘খাদান’ চ্যালেঞ্জ না রিস্ক?
দুটোই। আমারা চাকরি করি না কোথাও। নটা ছয়টার ডিউটি করি না। সেভ লাইফ না। প্রতিটি ছবি মুক্তির সময় রিস্ক থাকে। শুক্রবার যে-ছবি মুক্তি পায় দর্শক দেখবে কিনা জানি না। প্রোডিউসার যে-টাকাটা ঢালে ছবির জন্য, সেই টাকাটা ফেরানোর একটা দায়িত্ব থাকে। তবে আমি এই ছবি নিয়ে এখন একটা কনফিডেন্স পাচ্ছি। আমাদের দুটো গান দর্শকরা যেভাবে অ্যাকসেপ্ট করেছে, তাতে বুঝতে পারছি বাংলার দর্শক প্রস্তুত খাদানের মতো ছবি দেখার জন্য।
‘খাদান’ নিয়ে বেঙ্গল ট্যুর কেন?
অনেস্টলি বলছি শহর না, যে-গ্রাম বাংলার মানুষ দেবকে ‘দেব’ বানিয়েছে. তাদের ‘খাদান’-এর গল্প বলতে চাই। তাদের মধ্যেও একটা এক্সাইটমেন্ট তৈরি করতে চাই। তবে এই ট্যুর ঘোষণার সাথে সাথে যে-ভাবে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট থেকে সাড়া পাচ্ছি, বিভিন্ন কলেজ, সিনেমা হল মালিক, সবার পজিটিভ ভাইব- আমি কনফিডেন্স পাচ্ছি।
‘খাদান’- এর কিন্তু আবার আনসাম্বাল কাস্ট?
প্রথম দিন থেকে এই ছবিটার সঙ্গে আমি জড়িত। তাই কোন চরিত্রে কে হবে, কেন হবে সেই ভেবে তাদের ঠিক করেছি। এই ছবির গুরুত্বটা প্রত্যেক শিল্পী প্রথম দিন থেকে বুঝতে পেরে ২০০% দিয়ে ছবিতে অভিনয় করেছে। কাউকে ছবিতে দেখার সময় মনে হবে না কেউ অভিনয় করছে। খাদান সম্পূর্ণ বাংলার ছবি। বাংলার কথা বলবে।