কীর্তির মতে, ইভটিজারদের লাঠি দিয়ে পেটানো উচিত

কীর্তি কুলহারি (Photo: IANS)

পিঙ্ক, না ইন্দু সরকার। এই প্রশ্ন উঠবে বার মনে। কিন্তু কীর্তি কুলহারি এমনই এক অভিনেত্রী, যাকে কোনও কাটিগরিতেই ফেলা যায় না। এখনও বলিউড তাকে পূর্ণরূপে, পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। তার অনিসন্ধিৎসু চোখ, দৃঢ়সংকল্প চিবুক, সবল হাসি এখনও অনেক প্রত্যাশা নিয়ে রয়েছে। ওটিটি টিমে সামান্য তার উন্মোচনা করতে পেরেছেন তিনি।

কীর্তি কুলহারি বলেন, “ইন্দ্র সরকার আমাকে অনেক সুযােগ করে দিয়েছিল। অনেক পরিশ্রম, পড়াশুনাে মানসিক গঠনের পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। কিন্তু পিঙ্কে নারীসত্তা তুলে ধরতে পেরেছিলাম। স্ক্রিপ্ট এত শক্তিশালী ছিল যে এখনও গায়ে কাটা দেয়। আমাদের সমাজই স্থির করে দেয় মেয়েরা কেমন হবে, কী করবে কী করবে না। এমন কিছু ভাবনা উস্কে দিয়েছিল ‘পিঙ্ক’।

ক্রিমিনাল জাস্টিস সিরিজে পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘তিনি অতি সাধারণ ব্যক্তি। অত্যন্ত অমায়িক ভদ্রলােক। পঙ্কজজির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেও অনেক কিছু শেখা যায়। আশা করছি এটাই শেষ নয়, আরও কাজ করতে পারব ভবিষ্যতে।’


এমন একজন অভিনেত্রী যাকে সাধারণ ও অসাধারণের মাঝের চরিত্র দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে কীর্তি বলেন, সত্যি আমি ভগবতী। প্রতিটি চরিত্র এমন পাই সেখানে নানারকম নারী চরিত্র তুলে ধরতে পারি পর্দায়। মেয়েদের শারীরিক গঠন, বুদ্ধি, হরমােন ক্ষরন এসবের মিলিত প্রভাব আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। যখন অভিনয় করি, তখন এর কিছু নিয়ে ভাবি।’

ইউটিজারদের কী ধরনের শাস্তি হওয়া উচিত? সে প্রসঙ্গে কীর্তি কুলহারি গম্ভীরভাবে বলেন, ‘সরু লাঠি পাওয়া যায় না? যেগুলাে নিয়ে সপাং সপাং করে মারলে প্রচন্ড জোরে লাগবে। সেই রকম লাঠি নিয়ে আচ্ছা করে পেটানো উচিত। যাতে ভুল করেও মেয়েদের ত্রিসীমানায় না আসতে পারে।’