হিসেব বলছে, কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ‘ধাকড়’ ছবি ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় ফ্লপ। প্রায় ১০০ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি মাত্র ১০ কোটি টাকাই রোজগার করতে পেরেছে। বলিউডের গুঞ্জনে এসেছে এই ছবিতে টাকা ঢালার পড়ে প্রযোজকের এমন অবস্থা যে, ঘটি-বাটি বিক্রি করতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ছবির প্রযোজক দীপক মুকুট নাকি তাঁর অফিস বিক্রি করে দিচ্ছেন!
গোটা বলিউডে এখবর রটে যেতেই নড়ে চড়ে বসেন ছবির প্রযোজক। গোটা বিষয়টা জানার পর রীতিমতো ক্ষেপেও যান। সংবাদ মাধ্যমকে দীপক জানিয়েছেন, ‘একেবারেই বাজে কথা। বেশিরভাগ টাকা আমি তুলে নিতে পেরেছি। সময়ের সঙ্গে বাকিটাও পারব।’
বিশেষজ্ঞরা বলছে, ‘ধাকড়’ ছবির এই অবস্থা রীতিমতো বলিউডে রেকর্ড। ফিল্ম সমীক্ষকদের মতে, গত কয়েক বছরে বলিউডের কোনও ছবির অবস্থা এতটা খারাপ হয়নি। এমনকী, সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ছবির ডিজিটাল রাইটস বিক্রি করতে গিয়ে কালঘাম ছড়িয়েছেন প্রযোজকরা। শেষমেশ নাকি প্রায় ৮৫ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি এই ছবি খুবই সস্তায় বিক্রি করা হয় এক জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাছে। পরিসংখ্যান বলছে, ধাকড় ছবির মোট আয় ৩ কোটি টাকা। প্রায় ৭৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে কঙ্গনা রানাওয়াতের এই ছবি।
প্রসঙ্গত, ২০ তারিখ মুক্তি পায় কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ধাকড়’ ছবি। বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ছবি বক্স অফিসে ৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তবে ট্রেন্ড বলছে, এই ছবির যা দশা, তাতে সিনেমাহলে বেশিদিন টিকে থাকবে না। ‘ধাকড়’ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা। শোনা যাচ্ছে, বক্স অফিসে ব্যবসার অবস্থা দেখে ওটিটিতে ছবিটি বিক্রি করার চেষ্টা করছে ‘ধাকড়’ ছবির প্রযোজক সংস্থা।
‘ধাকড়’ ছবির পরিচালক রজনিশ ঘাই অবশ্য ছবির ব্যবসা নিয়ে কোনওরকম মুখ খুলতে চাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য পরিচালক ও প্রযোজকদের ছবিকে কটাক্ষ করলেও, ‘ধাকড়’ নিয়ে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কঙ্গনা। অন্যদিকে, নেটিজেনরা কিন্তু ইতিমধ্যেই কঙ্গনাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা শুরু করে দিয়েছেন।