একদিকে তীব্র গরমে হাঁসফোস অবস্থা মানুষের। তার উপর পানীয় জলের সংকটে পড়ছেন বিনপুর দুই ব্লকের বেলপাহাড়ী সন্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রীষ্ম শুরু হতেই গ্রামের পুকুর, কুঁয়াে, টিউবওয়েল গুলি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের মানুষজনেরা।
এদিকে পুকুরে জল না থাকায় ভালাে করে স্নান পর্যন্ত করতে পারছেন না গ্রামের মানুষেরা। পাশাপাশি গোরু, মহিষ। থেকে শুরু করে ছাগল সহ অন্যান্য গৃহপালিত পশু গুলিকে মাঠে গিয়ে জল পান করতে পারছে না।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে সন্দাপাড়া গ্রামে মােট সাতটি টাইম কল রয়েছে। তার মধ্যে দুটি কল একেবারে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। অভিযােগ কল গুলি মেরামত করার জন্য বারে বারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিওকে জানানাে হলেও এখনাে পর্যন্ত মেরামত করেনি।
আর পাঁচটি কলে জলে এলেও তা খুব সামান্য পরিমানে জল পড়ে। যা দিয়ে মানুষের নিত্যদিনের জন্য যে পরিমান জল প্রয়ােজন তা পাচ্ছেন না। আর টাইম কল গুলিতে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা জল আসে। তাতে মানুষের জলের চাহিদা পুরন হয়নি।
যার ফলে প্রায় দু কিলােমিটার দূর থেকে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। সন্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। এই গ্রামে প্রায় দেড়শাে থেকে দুশােটি পরিবার রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা চন্দন দাস বলেন, পুকুর, কুঁয়াে এমনি টাইম কলেও খুব কম পরিমানে জল আসছে।
যা দিয়ে মানুষজনের স্নান খাওয়া, জামা প্যান্ট, থালা, বাসন ধােয়ার জন্য জল পাচ্ছেন না। যার ফলে খুবেই সমস্যার পড়ছেন গ্রামের মানুষেরা।
এবিষয়ে বিনপুর দুই ব্ললের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদা, টাইম কলের যদি সমস্যা হয়েছে আমরা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সাথে কথা বলবাে। যাতে পানীয় জল এলাকার মানুষজনেরা সুষ্ঠভাবে পায়। আর যদি কল খারাপ থাকে সেগুলি আমরা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সারানাের ব্যবস্থা করবাে।
উল্লেখ্য প্রত্যেক বছর গ্রীষ্মের সময় পানীয় জলের সংকটে পড়েন পাহাড় জঙ্গল ঘেরা বেলপাহাড়ীর প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। ঝাড়গ্রাম থেকে জলের ট্যাঙ্কারে করে বেলপাহাড়ী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে পানীয় জল পৌছে দেন প্রশাসন।