রজনীকান্ত সেনের অসুখ ও একটি স্মরণীয় কবিতার বই

‘জ্যৈষ্ঠ মাসে পান খেয়ে মুখ পোড়ে, তারপর জিভের বাঁ ধার দিয়ে মটরের মতো গুড়িগুড়ি ও বেদনা, গাল ফুলা হয়; ক্রমে সেই যন্ত্রণা বাড়ে, ক্রমে তা থেকে ঘা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।’ ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ তারিখে রোজনামচার খাতায় এ কথা লিখেছেন কবি রজনীকান্ত সেন। কবি তখন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কটেজ ওয়ার্ডে ভর্তি। গলায় অস্ত্রোপচারের ফলে পুরোপুরি বাকস্তব্ধ। কথোপকথন সমস্তই চলে খাতায় লিখে লিখে। এর পরের ছ’মাস, শ্বাসনালীতে ক্যানসার আক্রান্ত কবি, দুঃসহ শারীরিক কষ্টের মধ্যে কাটিয়ে অবশেষে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯১০, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করবেন। তাঁর বয়স সবে তখন পঁয়তাল্লিশ পেরিয়েছে।

রজনীকান্তের জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার ভাঙাবাড়ি গ্রামে। ১৮৬৫-র ২৬ জুলাই। যদিও তাঁর শিক্ষা, কর্ম ও সাহিত্যক্ষেত্র ছিল মূলত রাজশাহি। তিনি রাজশাহির আদালতে ওকালতি করতেন। কিছুদিন নাটোর ও নওগাঁর অস্থায়ী মুনসেফ অর্থাৎ নিম্ন দেওয়ানি আদালতের বিচারক ছিলেন। কিন্তু এই কাজ তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিল না। অসুস্থতার সময় দীঘাপতিয়ার জমিদার কুমার শরৎকুমার রায়কে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন— ‘আমি আইন ব্যবসায়ী, কিন্তু আমি ব্যবসায় করিতে পারি নাই। কোন দুর্লঙ্ঘ্য অদৃষ্ট আমাকে ঐ ব্যবসায়ের সহিত বাঁধিয়া দিয়াছিল, কিন্তু আমার চিত্ত উহাতে প্রবেশলাভ করিতে পারে নাই।’

কর্মজীবনের প্রথম দিকে রাজশাহিতে অধিকাংশ সময় গান গেয়ে, নাটক করে ও সাহিত্যচর্চা করে কাটিয়েছেন। একটানা পাঁচ-ছয় ঘণ্টা গান গেয়েও ক্লান্ত হতেন না। ভাঙাবাড়িতে বৃহৎ একান্নবর্তী পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জ্যাঠামশায়ের ছোটো ছেলে উমাশঙ্কর। রজনীকান্তের জ্যাঠামশাই গোবিন্দনাথ সেন রাজশাহি কোর্টের দুঁদে উকিল ছিলেন। বাবা গুরুপ্রসাদ সেন মুনসেফ থেকে সাব-জজ পদে উন্নীত হয়ে বরিশাল থেকে কৃষ্ণনগরে বদলি হয়ে অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। রজনীকান্তের কলেজে পড়ার সময় কয়েকদিনের ব্যবধানে বাবা এবং জ্যাঠামশাইয়ের মৃত্যু হয়। তাঁর স্বল্পায়ু জীবন জুড়েই ছিল মৃত্যু এবং বিপর্যয়ের ঘনঘটা। তিনি যখন স্কুলের ছাত্র, সেসময় জ্যাঠামশাইয়ের দুই ছেলে, তাঁদের বাবার মতোই রাজশাহির দুই বাঘা উকিল বরদাগোবিন্দ ও কালীকুমার, মাত্র এক দিনের অসুখে মারা যান। তার কিছুদিনের মধ্যেই কালান্তক জ্বরে বরদাগোবিন্দের বালকপুত্র কালীপদ এবং কুকুরের কামড়ে রজনীকান্তের ছোটো ভাই জানকীকান্তের মৃত্যু হয়।


রাজশাহিতে কবির সাহিত্য-সংগীত চর্চার উল্লসিত জীবনেও আচমকা মৃত্যুর ছায়া এসে পড়ল। উমাশঙ্কর ক্যানসারে মারা গেলেন। বিপুল দেনার দায় সহ সংসারের সমস্ত ভার চাপল রজনীকান্তের কাঁধে। ইচ্ছে না থাকলেও তাঁকে বৈষয়িক ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হল। এই সময় তাঁর সংসারে আবারও দুর্ঘটনা ঘটল। পর পর দু’বছরে তাঁর দু’টি সন্তান সেজ ছেলে ভূপেন্দ্রনাথ এবং বড়ো মেয়ে শতদলবাসিনী মারা গেল। গানের ভেতরে আশ্রয় নিয়ে কবি শোক ভুলে থেকেছেন। এ ছাড়া তাঁর ছিল অটল ঈশ্বরভক্তি। তাঁর হাসির গান, স্বদেশি গান ইত্যাদি জনপ্রিয় হলেও ভক্তিমূলক গানেই কান্তকবি বাংলা সংগীতের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।


১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ একচল্লিশ বছর বয়সে রজনীকান্ত মূত্রকৃচ্ছ্রতা রোগে আক্রান্ত হন। রাজশাহি, কলকাতা, কটক শহরের বহু নামী ডাক্তারের চিকিৎসাধীনে থেকেও রোগ একেবারে সারল না। তার ওপর বারবার ম্যালেরিয়ার আক্রমণে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। রোজনামচা অনুযায়ী, ১৩১৬ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসে অর্থাৎ ১৯০৯-এর মে-জুনের কোনো এক সময়ে তাঁর ক্যানসার রোগলক্ষণের সূত্রপাত। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ এরকম—
সাধারণ গলার রোগ হিসেবে চিকিৎসা শুরু হল। এর মধ্যে বিশেষ কাজে রংপুর যেতে হল। উঠলেন অতুলচন্দ্র গুপ্তের বাড়িতে। সেখানে দু’দিন ধরে রাত্রি একটা-দেড়টা পর্যন্ত অক্লান্ত ভাবে গান গেয়ে রোগ বাড়িয়ে তুললেন। ক্রমে তাঁর স্বরভঙ্গ হল ও যন্ত্রণা প্রবল হয়ে উঠল। ভাদ্র মাসে চিকিৎসার জন্যে রাজশাহি ছেড়ে সপরিবারে কলকাতায় চলে এলেন। কলকাতার দেশি-বিদেশি ডাক্তারদের চিকিৎসাতেও কোনো ফল হল না। দৈব-বিশ্বাসী রজনীকান্ত দৈব-চিকিৎসার জন্যে কাশী রওনা হলেন।

তাঁর তখন প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থা। অর্থাভাবে দু’টি কবিতার বই, ‘বাণী’ ও ‘কল্যাণী’র স্বত্ব মাত্র চারশো টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তিন-চার মাস কাশীতে থেকে রোগ আরও গুরুতর হয়ে উঠল। মাঘ মাসে কলকাতায় ফিরে শ্বাসকষ্ট ও যন্ত্রণা প্রচণ্ড বেড়ে গেল। একটু নিশ্বাসের জন্যে তিনি কখনও বসে পড়ছেন, কখনও ছুটে বেড়াচ্ছেন, কখনও মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন। তিন দিন এরকম চলার পর ডাক্তার মেজর বার্ডের পরামর্শে তাঁকে তড়িঘড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে গলায় ‘ট্র্যাকিওস্টমি’ অস্ত্রোপচার করা হল। এতে সাময়িক জীবন বাঁচল বটে, কিন্তু তাঁর কথা বলার ও গানের কণ্ঠ চিররুদ্ধ হয়ে গেল।

অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালের কটেজ ওয়ার্ডে রজনীকান্তকে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর গলায় ফুটো করে শ্বাস নেবার জন্যে একটা নল বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আসল রোগের আরোগ্য না হওয়ায় তা বেড়েই চলল। ঘনঘন রক্তপাত, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, অনিদ্রা প্রভৃতি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর সঙ্গী হয়ে ছিল। শেষ দিকে অবস্থা এত নিদারুণ হয়েছিল যে তিনি নিকটজনকে উদ্দেশ করে খাতায় লিখেছেন— ‘আমাকে আস্ত রাখলে না। কেটে কুচো কুচো করলে। কেন একটু প্রাণ রাখা? …আমাকে শীঘ্র যেতে দে, তারই যে পথ থাকে তাই কর। অকর্মা ঘোড়াগুলোকে গুলি করে মারে, তাই কর। আমি বুক পেতে নিচ্ছি।’

জীবনের সেই শেষ কয়েক মাস হাসপাতালের দুঃসহ দিনগুলোতে বাক্যহারা রজনীকান্ত অদম্য প্রাণশক্তিতে সাহিত্যচর্চা করে গিয়েছেন। বন্ধুদের প্রশ্নের উত্তরে লিখে জানিয়েছিলেন— ‘যন্ত্রণা যখন খুব বেশি বাড়ে, তখন এই কবিতারচনা ছাড়া আমার শান্তির আর দ্বিতীয় উপায় থাকে না।’ এই সময়ের সমস্ত রচনাই প্রায় সাধনসংগীত। ‘আমায়, সকল রকমে কাঙাল করেছে,/গর্ব করিতে চুর,/যশ ও অর্থ, মান ও স্বাস্থ্য,/সকলই করেছে দূর’— এরকম অসংখ্য গানের আধ্যাত্মিক ভাবনা থেকে তিনি জীবনীশক্তি আহরণ করেছেন। তাঁর ‘আনন্দময়ী’ বইয়ের সমস্ত গানই এই পর্বে লেখা। প্রকাশিত হয়েছিল কবির মৃত্যুর পরে।

রজনীকান্ত মূলত গানের কবি। গানই তাঁর প্রেরণা। তাঁর ‘বিশ্রাম’ বইটি বাদ দিলে কবিতাগ্রন্থগুলোর বেশির ভাগ কবিতাই গান। এ ছাড়া ‘অমৃত’ ও ‘সদ্ভাব-কুসুম’ নামে ছোটোদের জন্যে দুটি বই লিখেছিলেন। ‘অমৃত’ বইটি তাঁর হাসপাতাল-জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত হয়ে আছে। ‘যুগপৎ শিক্ষাপ্রদ ও হৃদয়গ্রাহী’ এই বইয়ের কবিতাগুলোর কিছু কিছু পঙ্‌ক্তি আজও বাঙালির সাংস্কৃতিক মননের সঙ্গী হয়ে আছে।


‘অমৃত’-র সব কবিতাই আট পঙ্‌ক্তির। এবং চোদ্দো মাত্রার পয়ারে লেখা। এর কয়েকটি লিখেছিলেন হাসপাতালে আসার আগে। ‘দেবালয়’ নামে মাসিক পত্রিকায় সেগুলো ‘অষ্টপদী’ নামে প্রকাশিত হয়েছিল। বাকি সমস্তই হাসপাতালের কটেজে প্রথম দু’মাসে (ফাল্গুন-চৈত্র) লিখে ফেলেন। এরকম চল্লিশটি কবিতা নিয়ে বৈশাখ (১৩১৭) মাসে বইটি বেরোয়। প্রথম সংস্করণের এক হাজার কপি মাত্র এক মাসের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যায়। আষাঢ় মাসে রামতনু লাহিড়ীর পুত্র শরৎকুমার লাহিড়ী তাঁর বিখ্যাত কটন প্রেস থেকে দ্বিতীয় সংস্করণের হাজার কপি অত্যন্ত পরিপাটি করে ছেপে দেন। এই সংস্করণে রজনীকান্ত আটটি নতুন কবিতা সংযোজন করেছিলেন। ‘অমৃত’-র জনপ্রিয়তায় ও অসুস্থ কবির প্রতি সহমর্মিতায় স্কুল-কলেজের ছাত্ররা পর্যন্ত হাতে হাতে বইটি বিক্রি করতে লাগল। এবারে আরও দ্রুত সমস্ত বই বিক্রি হয়ে গেল। শ্রাবণ মাসে তৃতীয় সংস্করণে শরৎকুমার পাঁচ হাজার কপি ছেপে দিলেন। এ বইয়ের চতুর্থ সংস্করণ বেরিয়েছিল ১৩২২-এর পৌষ মাসে। কবির মৃত্যুর পাঁচ বছর পরে।
ছয় বাই চার ইঞ্চি মাপের ক্ষুদ্রাকৃতি বইটি একসময় বাঙালির ঘরে ঘরে আদৃত হয়েছিল। কবিতাগুলো নীতিশিক্ষামূলক হলেও, বেশির ভাগই ছোটো ছোটো গল্পের আভাসে মনোগ্রাহী।
একালের ভাষায় ‘ছন্দবদ্ধ’ অনুগল্পের শিরোপা দেওয়া যেতে পারে। ছোটোরা তো বটেই, শিক্ষিত-স্বল্পশিক্ষিত মানুষেরাও তাই এইসব কবিতায় মজে গিয়েছিলেন। ‘বাবুই পাখিরে ডাকি’, বলিছে চড়াই—/ কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই…’ অথবা ‘নর কহে, ধূলিকণা, তোর জন্ম মিছে/ চিরকাল প’ড়ে র’লি চরণের নীচে,…’ কিংবা ‘নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল/ তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল…’ ইত্যাদি পঙক্তি একালের বাঙালিরও যৌথ স্মৃতির অংশ হয়ে আছে। বইটির আলোচনায় ‘বসুমতী’ পত্রিকা সেই সময় লিখেছিল— ‘অমৃত’ যদি বাঙ্গালার গৃহে গৃহে গৃহ-পঞ্জিকার ন্যায় বিরাজ না করে, তাহা হইলে বলিব, সে দুর্ভাগ্য কবির নয়, সে শোচনীয় দুর্ভাগ্য বাঙ্গালীর’।
‘হিতবাদী’, ‘বঙ্গবাসী’, ‘দি বেঙ্গলি’ ইত্যাদি পত্রিকা বইটিকে স্কুলপাঠ্য করার পক্ষে জোরালো প্রস্তাব রেখেছিল। বইটিতে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন এবং রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর অভিমত ছাপা হয়েছিল। দীনেশচন্দ্র লিখেছিলেন— ‘এই ‘অমৃত’ রবিবাবুর ‘কণিকা’-র আদর্শে রচিত।’ এতে রজনীকান্তের গুণগ্রাহীরা ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। হাসপাতালে রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ-নির্বাক কবিকে দেখতে এলে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে রজনীকান্ত খাতায় লিখেছিলেন— ‘কণিকা’-র আদর্শে ‘অমৃত’ লিখেছি। লিখে ধন্য হয়েছি! ঐ আদর্শে লিখে ধন্য হয়েছি! দীনেশবাবু আদর্শ কথাটা লেখাতে যতই কেন লোকের গাত্রদাহ হোক না। হ্যাঁ, ঐ আদর্শে লিখেছি। সেটা আমার গৌরব না অগৌরব?’ সেদিন রবীন্দ্রনাথ চলে যাবার পর রোজনামচায় লিখেছিলেন— ‘আজ রবি ঠাকুর আমাকে বড়ো অনুগ্রহ করে গেছেন। আমাকে তিনি বললেন, আপনাকে পূজা করতে ইচ্ছা করে। শুনে আমি লজ্জায় মরি।’


এটা সত্যি যে কবি রজনীকান্ত সেনের মৃত্যু হয়েছিল নিদারুণ দারিদ্র ও দীর্ঘ যন্ত্রণাযাপনের মধ্য দিয়ে, কিন্তু অখণ্ড বাংলার খ্যাত-অখ্যাত অজস্র মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা-সহমর্মিতা তিনি অকুণ্ঠ ভাবে পেয়েছিলেন। বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্র রায় তাঁকে দেখতে গিয়ে বলেছেন— ‘আমার আয়ু নিয়ে আপনি আরোগ্য লাভ করুন।’ মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, কুমার শরৎকুমার রায়, অশ্বিনীকুমার দত্ত, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, ক্ষিরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, সারদাচরণ মিত্র, সুরেশচন্দ্র সমাজপতি, পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ বাংলার খ্যাতিমান মানুষেরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্কুলের ছাত্ররা তাঁর চিকিৎসার জন্যে অর্থসংগ্রহ করেছে।
এত মানুষের শুভাকাঙ্ক্ষা, সাহচর্য কবিকে আপ্লুত করেছিল। তিনি বারবার রোজনামচার খাতায় এসব উল্লেখ করে বাংলা, বাঙালি, বাংলা সাহিত্য আর তাঁর ঈশ্বরকে সবিস্ময় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন— ‘আমাকে দেশশুদ্ধ লোকে কেমন করে যে ভালোবাসলে তা বলতে পারি না। আমার মলিন প্রতিভাটুকুর কত যে আদর করলে! …বঙ্গদেশ আমাকে ছেলের মতো কোলে করে আমার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষুধা নিবারণ করেছে, সেইজন্য আমি ধন্য মনে করে ম’লাম।’