• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আলিপুরে জেলা শাসকের অফিসে লিফটে আটকে গেল যুবকের পা

আলিপুর, ১৩ মার্চ: ভয়ঙ্কর কান্ড! চলন্ত লিফটে পা আটকে গেল যুবকের। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ছ’তলার লিফটে ঝুলে রইলেন ওই ব্যক্তি। আজ বুধবার দুপুরে আলিপুরের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে ঘটেছে এই ঘটনা। গুরুতর চোট পেয়েছেন ওই যুবক। ৪৩ বছরের আহত ওই ব্যক্তির নাম সাহাবুদ্দিন মোল্লা। জানা গিয়েছে, ওই যুবক আলিপুরের জেলাশাসকের অফিসের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলেন। বেলা ১টা

আলিপুর, ১৩ মার্চ: ভয়ঙ্কর কান্ড! চলন্ত লিফটে পা আটকে গেল যুবকের। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ছ’তলার লিফটে ঝুলে রইলেন ওই ব্যক্তি। আজ বুধবার দুপুরে আলিপুরের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে ঘটেছে এই ঘটনা। গুরুতর চোট পেয়েছেন ওই যুবক। ৪৩ বছরের আহত ওই ব্যক্তির নাম সাহাবুদ্দিন মোল্লা।

জানা গিয়েছে, ওই যুবক আলিপুরের জেলাশাসকের অফিসের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলেন। বেলা ১টা নাগাদ তিনি লিফটে চড়ে ছয় তলায় ওঠেন। ছয় তলায় গিয়ে লিফটের বাইরে আসার জন্য পা বাড়াতেই ঘটে বিপত্তি। লিফট খানিকটা নিচে নেমে আসে। সাহাবুদ্দিনের পুরো শরীর লিফট থেকে বেরিয়ে এলেও তাঁর পা আটকে থাকে লিফটের ভিতরে। ঘটনার সময় লিফটের ভিতরে ওই ব্যক্তি ছাড়াও ছিলেন আরও প্রায় দশ জন ব্যক্তি।

এই ঘটনার ফলে সাহাবুদ্দুন ছাড়াও লিফটের ভিতরে আটকে যান অন্যান্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল বাহিনী। প্রায় দুই ঘন্টা পর তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। লিফটের পাঁচ তলার দরজা দিয়ে তাঁদের বের করে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু শাহাবুদ্দিনকে উদ্ধার করতে দমকলকে আরও খানিকটা বেগ পেতে হয়। ছয় তলায় লিফটের রেলিং কেটে তাঁকে বের করে আনা হয়। এই দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পুরনো দিনের এই লিফটির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। লিফটের মধ্যে কোনও ‘লিফটম্যান’ও থাকেন না। ফলে একসঙ্গে অনেকে উঠে পড়েন। নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে।

কৃষ্ণকান্ত দাস নামে লিফটের ভিতরে আটকে থাকা ব্যক্তিদের একজন বলেন,’লিফট ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের এক তলায় আসতেই লিফটে হুড়মুড় করে বেশ কয়েক জন উঠে যান। প্রত্যেক তলাতেই লিফট দাঁড়়াচ্ছিল। ছ’তলায় গিয়ে ওই ব্যক্তি বাইরে বেরনোর সময় লিফটটি হঠাৎ নীচে নেমে যায়। তাঁর পা আটকে যায়। প্রাথমিকভাবে অনেক ডাকাডাকির পরেও সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেননি। লিফটের আপৎকালীন সুইচও কাজ করছিল না। আমরা ওই ব্যক্তির পা তুলে দাঁড়িয়েছিলাম। না হলে পা কেটে গিয়ে বড় বিপদ ঘটতে পারত।’