জিনাতকে ধরতে খরচ ৩৫ কোটি

নিজস্ব চিত্র

টানা ৯ দিন বনদফতরকে নাকানি-চোবানি খাইয়ে অবশেষে ঘুম পাড়ানি গুলিতে শান্ত হয় জিনাত। ২০ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রামের কটচুয়ার জঙ্গল থেকে বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড়, ময়ূরঝর্না-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পরে বাঘিনী জিনাত। সেখান থেকে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় এলাকায় বনকর্মীদের সঙ্গে টানা সাতদিন লুকোচুরি খেলে শুশুনিয়া পাহাড় টপকে বাঁকুড়ায় ঢুকে শেষে ২৯ ডিসেম্বর তাকে ধরতে সফল হয় বনদপ্তর । এই ৯ দিনে বনদফতর কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়াও রাজ্য সরকারের গ্যাঁট থেকে খরচ হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা।

১৭৭ জন বনকর্তা-কর্মীর পরিশ্রমে অবশেষে বছরের শেষ দিনে মঙ্গলবার রাতে গ্রিন করিডর করে আলিপুর থেকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিনাতকে। তবে জিনাতকে বাংলা থেকে ওড়িশায় পাঠাতে গিয়ে করতে হয়েছে দক্ষ-যজ্ঞ। কে ছিল না সেই দক্ষ-যজ্ঞে, মুখ্য বনপাল, ডিএফও, এডিএফও, রেঞ্জ অফিসার, বিট অফিসার, বনকর্মী থেকে হুলাপার্টি- সকলেই। বস্তুত, বাঘিনিকে বাগে আনতে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বন দফতরের পাশাপশি ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকেও দক্ষ বনকর্মীদের আনা হয়েছিল। এমনকী সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকেও দক্ষ টিম আনা হয়। সঙ্গে একাধিক বড় বড় খাঁচা, লোকলস্কর নিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক বড় বড় গাড়ি।

বাঘিনী ধরতে খরচের হিসেবে দিতে গিয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, “বাঘিনি জিনতকে ধরপাকড়ের জন্য পুরো টিম টানা ১০ দিন জঙ্গলে থেকেছে। একাধিক জেনারেটর চলেছে। গাড়ি, খাওয়া খরচ, গ্রাম ঘেরার জাল – সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচের হিসেব পাওয়া গিয়েছে।


তবে বাঘিনীকে ধরতে যথেষ্ট বাগে পড়তে হলেও বনমন্ত্রী কিন্তু জিনাতকে সরকারি অতিথি হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “জঙ্গল তো ওদেরই! ফের যদি জিনাত বাংলায় ঢোকে তাতে আমরা প্রস্তুত পাহারাদার হিসেবে। আমরা সরকারি আতিথেয়তা দিতে তৈরি।”