উজ্জ্বল হলুদ পতাকায় ঢাকল দক্ষিণ কলকাতা। যেখানে, নীল কালিতে বাংলায় লেখা ‘অধিনায়ক অভিষেক’। নিচে ইংরেজিতে লেখা—হ্যাশট্যাগফ্যাম ফর টিএমসি অর্থাৎ ‘তৃণমূলের সমর্থকরা’। প্রত্যেক নির্বাচনের মতো ২০২৬ সালেও ভোটের ময়দানে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনের সারিতে দেখতে চান তাঁর সমর্থকরা।
পতাকার মধ্যে দিয়ে সেই ইঙ্গিতই যে মিলছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুক্রবার সকাল থেকে অভিনব এই পতাকায় ছেয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা। তবে হঠাৎ কেন এই পতাকা? এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের যতগুলি সমর্থক গ্রুপ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ‘ফ্যাম’। ‘অধিনায়ক অভিষেক’ তাঁদের সংগঠনেরই একটি শাখা। তাই এই পতাকা।’
উল্লেখ্য, ছাব্বিশের ভোটের জন্য তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ার রণকৌশল তৈরিতে গাঙ্গুলিবাগান এলাকায় রবিবার একটি বৈঠক আয়োজিত হবে। তার আগেই শহর ঢেকে গিয়েছে বিশেষ এই পতাকায়। এই আবহে শুক্রবার দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, নির্বাচনের প্রাক্কালে শহরে এমন পতাকা ছড়িয়ে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধীরা তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ প্রসঙ্গ তুলে জটিলতা সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু তৃণমূলের তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সম্প্রতি, নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাঁঝাল বক্তৃতা, দলনেত্রী কর্তৃক অভিষেকের কাঁধে ভোটার তালিকা তদারকির দায়িত্ব সমর্পণ ইত্যাদি ঘটনাক্রম প্রমাণ করে দিয়েছে যে সংগঠনে আঘাত হানা মোটেও সহজ নয়।
উল্লেখ্য, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভোটযুদ্ধের ময়দানে নেমে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেবেন অভিষেক, এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এছাড়াও সবে শেষ হয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’ স্বাস্থ্য-প্রকল্প, যা দেখে অনুপ্রাণিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। অর্থাৎ সবার উপরে নেত্রী সত্য, ঠিক তারপরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককেও নিজ ‘ফর্মে’ দেখতে চান তাঁর অনুগামীরা। শহরজুড়ে হলুদ পতাকা তারই ইঙ্গিত বহন করছে।