মণিশঙ্কর আইয়ার ছিলেন কেরিয়ার ডিপ্লোম্যাট তথা কূটনীতিক। আর যশবন্ত জেলাশাসক পদ থেকে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী, মণিশঙ্কর ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। আর যশবন্ত সিনহা ছিলেন অর্থমন্ত্রী। ট্রেজারি ও বিরােধী বেঞ্চে বসে এই দু’জনের তর্ক থামাতে বহু সময়েই লােকসভার স্পিকারকে উঠে দাঁড়াতে হত।
সেই মণিশঙ্করের পথেই যেন হাঁটলেন যশবন্ত সিনহা। কংগ্রেস থেকে টিকিট না পেয়ে এক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মণিশঙ্কর। প্রায়ই দেখা যেত, মমতার কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে হত্যে দিচ্ছেন মণিশঙ্কর। এবার যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যােগ দিলেন।
শনিবার সকালে তৃণমূলে সামিল হলেন দলের লােকসভা ও রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়েন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখােপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। ক’দিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। মনে করা হচ্ছে, তারই পাল্টা দিতে চাইল তৃণমূল।
পর্যবেক্ষকদের মতে, যশবন্ত অনেক দিন ধরেই বিজেপিতে ব্রাত্য। তাঁকে রাজ্যসভায় মনােনীত করতেও চায়নি বিজেপি। হয়তাে সেই আশাতেই তৃণমূলে যােগ দিলেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যােগ দিয়ে যশবন্ত বলেছেন, বিজেপি এখন ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলে পরিণত হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। সেই অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।