স্থানীয় নদী থেকে এক মাঝ বয়সী মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালাে এলাকায়। ওই মহিলার কোনও পরিচয় জানা যায়নি।
জেলা বীরভূমের সদাইপুর থানা এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত বক্রেশ্বর নদীর উপরের সেতুর নীচে ৩০ মার্চ সকালে এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার ইট ভাটার শ্রমিকেরা। মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকার কথা। জানাজানি হতেই এলাকায় ভীড় জমে যায়।
খবর পেয়ে সদাইপুর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় সিউড়ি জেলা সদর হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, মৃতদেহটি দিন পনেরা আগেকার। তাতে এমনই পচন ধরে গিয়েছে যে, তার মুখাবয়বও সঠিকভাবে বােঝা যায়নি।
ইট ভাটার শ্রমিকেরা জানিয়েছেন যে, তারা প্রতিদিনই নদীর সেতুর নীচে থেকে জল আনতে যান। গতকালও গিয়েছিলেন। তখন কোনও কিছুই চোখে পড়েনি। তারা কোনও দুর্গন্ধও সেখান থেকে পাননি। মঙ্গলবার সকালে নদীর সেতুর কাছে গিয়েই তারা দুর্গন্ধ পান এবং মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন।
তাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, ওই মহিলাকে আগেই কোথাও খুন করে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে। এবং আগের রাত্রে নদীর সেতুর নীচে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপাের্ট হতে না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।