জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানে গিয়ে, জেনারেটরের মোটরে চুল জড়িয়ে, খুলি উপড়ে, মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার, হুগলিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম উজ্জ্বলা সাঁতরা। মঙ্গলবার রাতে স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে চন্ডীতলার কলাছড়া এলাকায় জগদ্ধাত্রী প্রতিমার ভাসানে গিয়েছিলেন তিনি। উজ্জলের স্বামী ঝন্টু সাঁতরার একটি মোটর চালিত ভ্যান রয়েছে। সেটি চালিয়েই তিনি চণ্ডীতলায় ওই শোভাযাত্রায় গিয়েছিলেন। ভ্যানের মধ্যে বসে ছিলেন উজ্জ্বলা ও তাঁর পুত্র। আর তাঁর বছর আটেকের মেয়ে হাঁটছিল বাবার সঙ্গে রাস্তায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শোভাযাত্রা যখন চণ্ডীতলার ধর্মতলা থেকে পাল পাড়ার দিকে এগোচ্ছিল তখনই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হঠাৎ মাকে ওইভাবে ভ্যান থেকে পড়ে যেতে দেখে উজ্জ্বলার দুই ছেলে মেয়ে চিৎকার শুরু করে দেয়। উজ্জ্বলা স্বামী ঝন্টুও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। তারপর তড়িঘড়ি তিনি স্ত্রীকে উদ্ধার করে চন্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা উজ্জ্বলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উজ্জ্বলার স্বামী ঝন্টু বলেন, ‘ছোট ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে পারছিল না বলে আমি ওকে বলেছিলাম, “ভ্যানে গিয়ে বসো।” সেই ভ্যানই প্রাণ কাড়ল আমার স্ত্রীর!’ তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরও বলেন, ‘ভ্যানে জেনারেটর ছিল। ওকে চুল বেঁধে নিতে বলা উচিত ছিল আমার। ভুল হল….. বড় ভুল।’
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, ” খোলা চুলে ভ্যানে বসেছিলেন ওই মহিলা। ভ্যানে একটা জেনারেটর ছিল। জেনারেটরের মোটরে মহিলার চুল আচমকাই আটকে যায়। চিৎকার শুনে তাকাতেই দেখি, ভ্যান থেকে ধপ করে রাস্তায় পড়ে গেলেন ওই মহিলা। মাথার খুলি উপড়ে গিয়েছিল তার।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উজ্জ্বলার দেহ ময়না তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।