• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

উইপ্রাে এবং মাইক্রোসফট সংস্থায় ঢালাও কর্মসংস্থান, আশার বাণী শোনালেন মমতা

সবুজের অভিযানের মধ্যেই রাজ্যে শিল্পের জয়যাত্রার খবর শােনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

সবুজের অভিযানের মধ্যেই রাজ্যে শিল্পের জয়যাত্রার খবর শােনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিড়লা তারামণ্ডল থেকে পদযাত্রা শেষ করে নজরুল মঞ্চে উঠে পরিবেশ বাঁচানাের বার্তা দেওয়ার সময়েই উইপ্রাে এবং মাইক্রোসফট সংস্থায় কর্মসংস্থানের ‘মিষ্টি খবর’ শােনালেন মুখ্যমন্ত্রী।

উইপ্রােতে দশ হাজার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান হবে বলে ঘােষণা করলেন। সেই সঙ্গে শােনালেন বাংলার তাঁতিদের নিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করতে আসছে মাইক্রোসফট কোম্পানি। যেখানে বাংলার ছয় লক্ষ গতি উপকৃত হবে। দেওচা পাঁচামির কয়লাখনি এবং বানতলায় চর্মনগরীর পর তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে এই লগ্নি রাজ্যের পক্ষে সুখবর।

বাম আমলে রাজারহাট নিউটাউন অঞ্চলে পঞ্চাশ একর জমি কিনে রেখেছিল উইপ্রাে। কিন্তু তখন তাদের দাবি ছিল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) সুযােগ সুবিধে। এরপর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর নীতিগতভাবে তাদের এসইজেড-এর শর্ত না মানলেও বিকল্প সুযােগ সুবিধে দেওয়ার কথা মেনে নেয়।

২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে উইপ্রাে তাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির জন্য শহরের আউটস্কার্টে জমি চায়। যেখানে সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকা লগ্নি করার অঙ্গীকার করে। যেখানে পনেরাে হাজার লােকের চাকরি হতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, উইপ্রাে সংস্থাটি রাজারহাটের সিলিকন ভ্যালিতে পঞ্চাশ একর জমি নিয়েছে। সিলিকন ভ্যালিতে প্রথম পর্বে যে একশ একর জায়গা দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে পঞ্চাশ একরই উইপ্রাে নিয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন সংস্থার জন্য আরও একশ একর জমি সিলিকন ভ্যালিতে বরাদ্দ করা হয়েছে। যার প্রায় পুরােটাই বিভিন্ন সংস্থা নিয়ে নিয়েছে।

উইপ্রাের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রায় দশ হাজার লােকের কর্মসংস্থান হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উইপ্রাে ছাড়াও মাইক্রোসফট এই রাজ্যে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য প্রােজেক্ট সঙ্গম এবং প্রােজেক্ট ই-ওয়েব তৈরি করেছে। এই প্রকল্পে তারা ছয় লক্ষ তাতিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। যার ফলে বাংলার তাঁতিদের আয় প্রায় পঁচিশ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। প্রথম পর্বে নদীয়া জেলা থেকে তারা কাজ শুরু করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন দফতর, পুলিশকেও বেশ কিছু নির্দেশ দিলেন মমতা। ব্যাগের মধ্যে করে গাছের চারা বিতরণ করা হল। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও স্থানীয় ক্লাবগুলিকেও সবুজ গাছের চারা বিতরণ করতে বলেন। সবুজের অভিযান-এর অঙ্গ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জল, বিদ্যুৎ, অরণ্য বাঁচানাের জন্য আহ্বান জানান।

২০১৭ সালে বসিরহাট, বাদুড়িয়াতে ডেঙ্গি প্রায় মহামারীর আকার ধারণ করেছিল। এবছরও ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়ানাের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে এবছর বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ডেঙ্গির মশাও দুই বাংলায় যাতায়াত করতে পারে। সেজন্য সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়া শব্দ দূষণ রুখতে অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন একটা নির্দিষ্ট সীমায় (চারশ-পাঁচশ ডেসিবেল) বেঁধে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নজরদারি চালাতে বলেন।