বেশ কিছু দিন ধরেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের একটু বেশি ছিল। নতুন বছর শুরু হলেও অন্যবারের মতো হাড় কাঁপানো শীত এই বছর পড়েনি। কিন্তু আবহবিদেরা আগেই জানিয়েছিলেন, বছরের শুরুতেই জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে শীত। সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল। বছরের তৃতীয় দিনে বেশ কিছুটা নামল পারদ।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকই রয়েছে। শেষ কিছু দিন ধরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি বেশি ছিল। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখল সোমবার। একই সঙ্গে সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠতে পারে ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে , যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম।
সারা দিন ধরেই বইতে পারে উত্তরে হাওয়া। তবে আকাশ হালকা মেঘাচন থাকলেও সোমবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই কলকাতায়। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বেশ কিছুটা নেমেছে।
পশ্চিমের রাজ্যের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা থাকবে ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি। পার্বত্য তরাই-ডুয়ার্সে পারদ ১০ ডিগ্রিরও নীচে নেমেছে। তবে দফতরের পূর্বাভাস আবহাওয়া অনুযায়ী , আগামী কয়েক দিন রাজ্যজুড়ে জাঁকিয়েই বসবে শীত।
আবহবিদেরা জানিয়েছিলেন, পূর্ব ভারতে ঠান্ডার কারণ উত্তর-পশ্চিমের শৈত্যপ্রবাহ। রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানায় প্রবল শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে কনকনে উত্তুরে হাওয়া পূর্ব ভারতে প্রবেশ করে। সোমবার দিন সেই শীতের দেখা মিললেও এই শীত কত দিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন আবহবিদদের একাংশ।
কিছু দিন আগেই কাঁপুনিতে উত্তরের তরাইকে বলে বলে গোল দিয়েছিল দক্ষিণের ক্যানিং দিঘা। তার পরে পারদ মাথাচাড়া দিলেও ইংরেজি নতুন বছরের গোড়াতেই গাঙ্গেয় বঙ্গে ফের দাপট দেখাচ্ছে শীত । উত্তরে ডুয়ার্সের জেলাগুলিকে ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা।
আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, শিলিগুড়ি , জলপাইগুড়ি বা কোচবিহারের থেকে রবিবার পুরুলিয়া, শ্রীনিকেতন এবং কাঁথিতে বেশি শীত মালুম হয়েছে। এমনকি উলুবেড়িয়া বা কৃষ্ণনগরের কাছেও গোল খেয়ে গিয়েছে ডুয়ার্স। এর মুলে গাঙ্গেয় বঙ্গে কনকনে উত্তুরে হাওয়ারই কারিকুরি বলে জানাচ্ছেন আবাহবিদেরা।