পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। বাতবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরােধী দলের সাংসদরা।
বাংলায় বিজেপি সাংসদদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযােগ ওঠে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে। হামলা হয়েছে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, দিলীপ ঘােষের ওপর বলে বিজেপি সাংসদরা অভিযােগ তােলেন অধিবেশনে। যার জেরে সাময়িক স্তব্ধ হয়ে যায় সংসদের কাজ।
তবে রাজ্যের বিষয় কেন সংসদে তােলা হচ্ছে তা নিয়ে পাল্টা অভিযােগ তােলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুখ্যমন্ত্ৰী না শুনলে আর কোথায় বলব?
লােকসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি সাংসদরা সরব হলে তৃণমূল সাংসদরা তীব্র প্রতিবাদ জানান।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র জিরাে আওয়ারে বক্তব্য রাখার সময় বলেন ‘পশ্চিমবাংলার আইনশৃঙ্খলার বিচারের জন্য সংসদকে আদালত বানিয়ে তােলা হচ্ছে’।
সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার পর সংসদে প্রথম ভাষণে বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ নীতি সমালােচনা করে সবার নজর কেড়ে ছিলেন তৃণমুলের সাংসদ।
বাংলার আইনশৃঙ্খলার বিপন্নতা নিয়ে বিজেপি সংসদে আলােচনা চাইলে তৃণমূল সাংসদ বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনে আনেন।
ময়া বলেন, ‘আমরা উত্তরপ্রদেশের মতাে বেশ কয়েকটি রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে দেখতে পাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাহলে আলােচনার জন্য শুধু পশ্চিমবাংলাকেই কেন বেছে নেওয়া হল?’
পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের একাধিক নির্দেশমূলক পরামর্শ বা অ্যাডভাইসরি পাঠানাে নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যসভা।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন এর বিরােধিতা করলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, রাজ্যকে নির্দেশমূলক পরামর্শ দেওয়ার অধিকার তাঁর আছে।
এদিন লােকসভা অধিবেশনেও বিজেপি-তৃণমূল সাংসদরা বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
মহুয়া মৈত্রর মতাে আর এক তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে পশ্চিমবাংলার পরিস্থিতি নিয়ে আলােচনায় আপত্তি তােলেন। তিনি অধ্যক্ষকে অনুরােধ করেন যাতে সংসদে কোনও কক্ষেই এই বিষয়টি নিয়ে আলােচনার প্রস্তাবে অনুমােদন না দেন।