রবিবার দিল্লি গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দেবেন তিনি
তবে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে জানিয়ে গেলেন, ‘বাংলায় হেরে বদলা নিচ্ছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টে যাব।
দিল্লিতে ইডি’র দফতরে নয়, তদন্তের স্বার্থে কলকাতা দফতরে ডাকা হোক সস্ত্রীক ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে।
এই আরজি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। রায় ঘোষণার পরই ফের সাংসদকে নোটিশ পাঠায় ইডি।
এ প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘গত ৪ মাস ধরে আদালতে শুনানি ছিল। ১০ তারিখ ৫ রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
বিচার বিভাগের উপর ভরসা রেখেই বলছি, ১১ তারিখ আদালতে আমার আরজি খারিজ হয়ে যায়। এ নিয়ে আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব।’
কয়েকদিন আগেই সাংসদের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসক তাকে বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন। তার পরেও এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন অভিষেক। বললেন, ‘চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে বললেও আমি যাচ্ছি আজ।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন ‘বাংলায় হেরে গিয়ে জ্বালা ধরেছে বিজেপির। তাই বার বার ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
অথচ যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, যাদের নামে অভিযোগ রয়েছে, তাদের ডাকা হচ্ছে না। এ জন্যই ইডি’র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে’।
এরপরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘লড়াই চলবে। শেষ দেখে ছাড়ব। আমি মাথা নত করব না।’
প্রসঙ্গত, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের দিনই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘তৃণমূল নেতাদের এজেন্সি দিয়ে হয়রানি শুরু হচ্ছে।
তিনি এও বলেছিলেন, ‘এবার বোধহয় অভিষেকের দু’বছরের বাচ্চাকেও ডাকবে।’ স্বয়ং অভিষেক আগেও স্পষ্টভাবে বলেছেন তিনি নির্দোষ।
যাবতীয় কুৎসার জবাবও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘এক বিন্দু প্রমাণ থাকলে স্বেচ্ছায় ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুবরণ করব।’