করোনা? তাতে কি? সবার ওপর ফ্যাশন সত্য তাহার ওপর কিছু নাই।
রবিবার শহর কলকাতার শপিং চিত্র দেখলে মনে হয় এমনটাই। জামা-জুতাে গয়না কেনার হিড়িক সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেড শহরের সমস্ত শপিং প্রাণকেন্দ্র গুলি ছিল ভিড়ে ঠাসা। এই ভিড় দেখলে বােঝার উপায় নেই যে দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করােনার মতাে ভয়ানক ভাইরাস।
কেনাকাটা করার আগে কিংবা আনন্দে মাতােয়ারার আগে দুবার ভাবুন, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, রবিবার স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে এরাজ্যে করােনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। এর মধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১৬ ও ১৮ জন মারা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,৬১২ জন নতুন করে করােনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা রেকর্ড। ফলে রাজ্যে মােট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৯৪,৮০৬০। প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা রবিবার পর্যন্ত ৩০,২৩৬।
দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু দীর্ঘ আট থেকে নয় মাস এই ভাইরাসের দরুণ ঘর বন্দি থাকার পর কার্যত হাঁপিয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষও। উৎসবের মরসুমে সামাজিক দুরত্ব থেকে ছুটি চাইছে তারা। আর এই মনােভাবে কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার শহর কলকাতায় শপিং জোনগুলিতে কার্যত জনস্রোত দেখা গিয়েছিল। নিউমার্কেট, হাতিবাগান ছিল ভিড়ে ঠাসা। এমনকি সাধারণ সচেতনতা বিধিও মেনে চলতে দেখা যায়নি ক্রেতা- বিক্রেতা দুপক্ষকেই। অধিকাংশেরই মাস্ক ঝুলছিল নাকে, মুখে, গলায়।
উৎসবের মরসুমে সাধারণ মানুষের এহেন অসচেতনতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছর পুজোর আগে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এই নির্দেশিকা। কিন্তু তার স্বত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা কোন বালাই নেই। পুজোর আগে শহর কলকাতা এই শপিং চিত্র ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে , বাড়ছে আশঙ্কা।