প্রশ্নের মুখে দুর্ঘটনার স্মৃতিজড়িত পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ

বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার(Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

২০১৬ সালের ৩১ মার্চ, ঘড়ির কাঁটায় তখন ১২:৪০। ব্যস্ত শহরবাসীর স্বাভাবিক জীবনের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল একটি দুর্ঘটনা। ভেঙ্গে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুলের একাংশ। প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন, আহতও হয়েছিলেন বহু। এই ঘটনার পর তিন বছর পার হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই এলাকার সাধারণ মানুষের স্মৃতি থেকে সামান্য সরেছে এই ঘটনা। কিন্তু উড়ালপুলের বাকি অংশ মাঝে মাঝেই উস্কে দেয় সেই পুরনো ক্ষত। পোস্তা উড়ালপুলের অক্ষত অংশের ভবিষ্যৎ কি?এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

রবিবার ৩১ মার্চ, ছুটির দিন থাকায় রবীন্দ্র সরণীতে লোকজন কম। তিন বছর আগের ভয়াবহ স্মৃতিটা না ভুললেও দিনটা মনে ছিল না অনেকেরই। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায় , ওই দিনের কথা ভোলা সম্ভব নয়। দিনটা শহরবাসীর কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। কিন্তু উড়ালপুলের বাকি অংশটি নিয়েও যে তাঁদের মনে ভয় রয়েছে এমনটাও জানান তিনি। তাঁর দাবি, উড়ালপুলের কিছু অংশে শ্যাওলা পড়েছে। এর পাশ দিয়ে হাঁটতে গেলেও সময়ে সময়ে গা ছমছম করে।

রবীন্দ্র সরণি এবং কে কে টেগোর রোডের ক্রসিং-এ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ১৫০ মিটার অংশ ভেঙ্গে পড়েছিল। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়েছিল বিস্তর।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৎকালীন মুখ্য সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খড়্গপুর আইআইটির তিন জন অধ্যাপককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বাকি উড়ালপুলটির স্বাস্থ্য বিবেচনা করার পর তা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয় এই কমিটির পক্ষ থেকে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভেঙ্গে ফেলা হবে বিবেকানন্দ উড়ালপুল। কিন্তু এরপর পার হয়ে গেছে তিনটি বছর। পোস্তার ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। সেই সময় প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হইয়েছিল, টেন্ডারের মাধ্যমে এই উড়ালপুল ভেঙ্গে ফেলার বরাত দেওয়া হবে কোনও সংস্থাকে। পুরো বিষয়টির তদারকি করবে পূর্ত দফতর। এমনকি দিল্লির একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল বলেও সূত্রের খবর। কিন্তু বিবেকানন্দ উড়ালপুলের বাকি অংশ ভাঙ্গা হবে কিনা সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সেই টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়।


কি হবে এই উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ? প্রশ্ন উঠলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর নেই।