আগামী সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু সেই বাধা আসার আগে আগামী দিন দুয়েক শীতের আমেজ জোরালোভাবেই মিলবে।
আলিপুর দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, আগামী শুক্রবার থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এদিকে বয়ে এলে ১২ জানুয়ারি নাগাদ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝঞ্ঝার বাধা রয়েছে। তবু ভরা পৌষে মাঠ ছাড়তে নারাজ শীত। তার জেরেই মঙ্গলবার কিছুটা তীব্র হয়েছে ঠান্ডার দাপট।
আবহবিদদের মতে, এই লড়াই বেশিদিন টিকবে না। দু’দিন পর থেকেই কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের দাপট কমবে। ৯ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। বীরভূমের এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম।
তবে কলকাতার উপকণ্ঠে দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১৩.১ ডিগ্রি) ছিল কলকাতার তুলনায় সামান্য বেশি। কাছেই বারাকপুরের রাতের তাপমাত্রা অবশ্য নেমে গেছে প্রায় ১১ ডিগ্রিতে।
বসিরহাট এবং বর্ধমানেও শীতের কাপুনি মিলেছে। গাঙ্গেয় বঙ্গের এই এলাকাগুলি শীতের দৌডে এদিন পিছনে ফেলেছে শিলিগুড়িকে (১১.৮ ডিগ্রি)।
তবে ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি (৯.৪) এবং কোচবিহারে (৯.৩) শীত ভালোই মালুম হচ্ছে। শীতের দাপট বেড়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও।
পুরুলিয়ার রাতের তাপমাত্রা প্রায় কাছেপিঠে শ্রীনিকেতন এবং পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ও। ওই দুই জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদহ দিনাজপুরেও শীত জাঁকিয়ে বসেছে।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব শুরু হয়েছে। সেখানে পরপর দু’টি ঝঞ্ঝা আছড়ে পড়ার কথা। প্রথম ঝঞ্ঝাটি দক্ষিণ রাজস্থানের উপরে রয়েছে এবং একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি করেছে।
যার টানে আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার ফলে আগামী দু’দিন উত্তর পশ্চিম ভারত এবং তার পরে মধ্য ভারতের একাংশে বৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার আরেকটি ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে এবং তার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাহাড়ি এলাকায় জোরালো তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা।