• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ

কী কারণে কুনাল সিবিআইয়ের কাছে এলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

আর জি করের ট্রেনি ডাক্তার ধর্ষণ-খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। আর জি কর হাসপাতাল থেকে শুরু করে নিহত ডাক্তারের বাড়ি, পুলিশ ক্যাম্প – সর্বত্রই চষে ফেলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি। প্রচুর মানুষকে জেরাও করছে। কলকাতার আঞ্চলিক দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে।

কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি থেকেও সিবিআইয়ের বিশেষ টিম রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে সোমবার সকালে আচমকা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর হাতে ছিল একগোছা ফাইল। কী কারণে কুনাল সিবিআইয়ের কাছে এলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, আমি এখানে এসেছি আমার ব্যক্তিগত কাজের জন্য। কলকাতার বাইরে যাওয়ার আগে একটা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তথ্য দিতে হয়, সেই তথ্যের তালিকা নিয়ে এখানে এসেছি।

তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপত্রের কথায়, কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার সিবিআইকে কিছু তথ্য দিতে চাইলেও তাদের কাছে তা দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই, তাই তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যদি এই তথ্য ওদের (সিবিআই) কাজে লাগে, তাহলে ওরা (জুনিয়র ডাক্তাররা) সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

সোমবার সকালে ফের একবার আর জি কর নিয়ে জনগণকে সচেতন করেন কুণাল। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, প্রতিবাদী পোস্ট হলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, এই ন্যাকামির মিথ্যা বন্ধ করুন। প্রতিবাদ করবেন ভাবলে সঠিক ভাষায়, যুক্তিতে একশোবার করুন। হাজারবার করুন। কিন্তু ভুল তথ্য, বিকৃত অনুমান, ভুয়ো অডিও, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্ররোচনা ছড়ানোর পোস্ট, নিহতের নাম-ছবি, এসব দিলে পুলিশ সতর্ক করবেই।

সপ্তাহ খানেক আগে আর জি কর হাসপাতালে এক ট্রেনি ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে ওই ট্রেনি চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হত্যার আগে তাঁকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার সে দোষ কবুলও করে।

প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালালেও দিন কয়েক আগে ধর্ষণ-খুব কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।