বালির তবলা শিক্ষক হত্যায় গুজরাত যোগ? গ্রেপ্তার ‘সিরিয়াল কিলার’

বালির তবলা শিক্ষক খুনে কি গুজরাত যোগ? বালির তবলা শিক্ষক খুনে গুজরাত থেকে এক ‘সিরিয়াল কিলার’ গ্রেপ্তারের ঘটনায় সেই সম্ভাবনাই জোরাল হয়েছে। গুজরাতের ভালসাদ পুলিশ ও রেল পুলিশ রাহুল নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের দাবি, ওই যুবক দেশের নানা প্রান্তে খুন করে বেড়ায়। মূলত ট্রেনেই খুন করে সে। বালির তবলা শিক্ষক খুনের তদন্তে এবার ভালসাদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছে হাওড়া পুলিশ।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে ট্রেনে নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তদন্তকারীরা প্রায় এক হাজার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেখানেই এক সন্দেহভাজনের হদিশ মেলে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, লম্বা এক ব‌্যক্তি ট্রেন থেকে নেমে যাচ্ছে। খুনের পর দেহ চাদর মুড়ে রাখত সে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু চাদরও পাওয়া গিয়েছে। বালির তবলা শিক্ষকের দেহও চাদর দিয়ে জড়ানো ছিল।

ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে ভালসাদ পুলিশ জেনেছে, পশ্চিমবঙ্গের ট্রেনেও সে এই অপরাধ করেছে। গত মঙ্গলবার সকালে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের বাঙ্কার থেকে চাদর চাপা দেওয়া অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া জিআরপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।


ওই দিন সকালে হাওড়া স্টেশনে ঢোকে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস। প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কোচের বাঙ্কার থেকে সৌমিত্রবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। রেল পুলিশের অনুমান, ট্রেনের মধ্যেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মৃতের পরিবারের তরফেও একই অভিযোগ উঠেছে। বালি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র বা টিকিট ছিল না। ফলে প্রথমে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করেন।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির লোকজনের কথায়, তালিম দিতে কাটিহার গিয়েছিলেন তিনি। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি বিহারের কাটিহার থেকে ট্রেনে চড়েন। রাতে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া আসে। প্রতিবন্ধী কামরার বাঙ্কে তাঁর দেহটি পড়েছিল। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় দেহটি। মালদহ ও তার আগের স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেও খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।