• facebook
  • twitter
Tuesday, 28 January, 2025

‘কাজকর্মে বাধা’, সুবর্ণ গোস্বামী-সহ ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মেডিক্যাল কাউন্সিল

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সুবর্ণ গোস্বামী-সহ ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মেডিক্যাল কাউন্সিল।

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সুবর্ণ গোস্বামী-সহ ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মেডিক্যাল কাউন্সিল। ওই চার চিকিৎসক আর জি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রাজ্যের এহেন পদক্ষেপে প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব হয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস ফোরাম। সূত্রের খবর, সুবর্ণ গোস্বামী, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জন ভট্টাচার্য, মানস গুমটার বিরুদ্ধে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর আগে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্ক্যানারে ছিলেন পিজিটি আসফাকুল্লা নাইয়া এবং কিঞ্জল নন্দ।

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এই অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, প্রতিবাদ করলেই প্রতিহিংসা, এই সরকারের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে একহাত নিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীবলেন, যখন ধরা পড়ে গিয়েছে। সকলে বুঝে গিয়েছে। তখন যত দোষ, নন্দ ঘোষ। তাই ধামাচাপা দিতে এসব করছে। সরকার এই চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হবে না।

কী অভিযোগ উঠেছে এই চার সিনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে? সম্প্রতি বিভিন্ন দাবিতে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ডক্টরস ফ্রন্ট। সুবর্ণ গোস্বামী-সহ চার চিকিৎসক ওই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন। সূত্রের খবর, ওই ঘটনার উল্লেখ করেই চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

এর আগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ডিগ্রি ভাঁড়িয়ে প্রাইভেটে চিকিৎসা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নোটিস পাঠিয়ে আসফাকুল্লাকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও আসফাকুল্লা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

আরেক ট্রেনি চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দের বিরুদ্ধে ‘কর্তব্যে গাফিলতি’র অভিযোগ উঠেছে। ছুটি কম হওয়া সত্ত্বেও তিনি কীভাবে সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব সামলে বিজ্ঞাপন ও সিনেমায় শুটিং করার সুযোগ পেলেন, সেটাই খতিয়ে দেখছে কাউন্সিল। পিজিটি হিসেবে কত টাকা স্টাইপেন্ড পেতেন কিঞ্জল, পিজিটি হিসাবে কিঞ্জলের আদৌ ৮০ শতাংশ উপস্থিতি আছে? কতদিন ছুটি নিয়েছেন? সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সল।