বাংলাদেশে আটকে থাকা কাকদ্বীপের ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী রাজ্য। গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নবান্ন। বাংলাদেশে আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যেরা কেমন আছেন, সেই বিষয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নেন। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন এসেছিল। আটক মৎস্যজীবীদের পরিবারের অসহায় সদস্যেরা কেমন রয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়। শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে। অপর দিকে ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদেরও দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শীতের আগে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে ভুলবশত বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার। ওই সমস্ত ট্রলারগুলিতে ছিলেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ, নামখানা এলাকার বাসিন্দা। বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাঁদেরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সবাইকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে ওই মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের জেলেই রয়েছেন।
১৩ অক্টোবর মা বাসন্তী ও জয় জগন্নাথ ট্রলার থেকে ৩১ জন জেলেকে আটক করে বাংলাদেশ। ১৪ অক্টোবর অভিজিৎ, অভিজিৎ-৩ এবং নারায়ণ নামের তিনটি নৌকা-সহ আরও ৪৮ জন জেলেকে আটক করা হয়। ২৬ অক্টোবর আরও ১৬ জন জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড। পরে তাঁদের সকলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলেদের সংগঠনগুলির দাবি, ইচ্ছে করে তাঁরা সীমা লঙ্ঘন করেননি। ইলিশ মাছ ধরার মরশুমে ভুলবশতই তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েন। বাংলাদেশে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের পরই প্রশাসন এমন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। আগেও এই জাতীয় ঘটনা ঘটেছে। তবে কখনও এতটা কড়া পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন পেয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ওই মৎস্যজীবীদের পরিবার। কবে ঘরের মানুষ ঘরে ফিরবেন, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।