• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

১ মাসে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা সাধারণের অ্যাকাউন্টে পাঠাবে নবান্ন

কেন্দ্র সবসময় রাজ্যের সঙ্গে বৈরিতা করে সরকারি প্রকল্পের কোনও টাকাই দেয় না। এই অভিযোগ বারবার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্ন। ফাইল চিত্র

কেন্দ্র সবসময় রাজ্যের সঙ্গে বৈরিতা করে সরকারি প্রকল্পের কোনও টাকাই দেয় না। এই অভিযোগ বারবার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সময়ে তিনি এও বলেছেন, এ রাজ্যের মানুষের পাহারাদার তিনি। যে কোনও প্রকল্পের টাকা তিনি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন, তা সে আবাস যোজনার টাকা হোক বা ১০০ দিনের কাজ। সম্প্রতি উপনির্বাচনে ৬টি আসনে জেতার পর উজ্জীবিত তৃণমূল শিবির। এই জেতার কৃতিত্ব রাজ্যের মানুষকে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর মধ্যে ডিসেম্বরে নয়া মাইলফলক তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুধু ডিসেম্বর মাসে আবাস যোজনায় গরিব ও প্রান্তিক মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা পাঠাতে চলেছে তাঁর সরকার।

অতীতেও আবাস যোজনার আওতায় গরিবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের কিস্তির টাকা গেছে। সে ছিল কেন্দ্রের পাঠানো টাকা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশের কোনও রাজ্য সরকার গরিব ও প্রান্তিক মানুষকে বাড়ি বানানোর জন্য একসঙ্গে এত টাকা দেয়নি। সেদিক থেকে এক প্রকার রেকর্ড করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ লক্ষ গরিব পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনা খাতে এক সঙ্গে ৬০ হাজার টাকা করে পাঠাবে নবান্ন। এটা হল প্রথম কিস্তির টাকা। অর্থাৎ আবাস খাতে ডিসেম্বর মাসে ৭২০০ কোটি টাকা দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।

এখানে বলে রাখা ভাল, প্রথমে ঠিক ছিল আবাস যোজনা খাতে ১১ লক্ষ ৩২ হাজার পরিবারকে অনুদান দেওয়া হবে। কিন্তু এত বেশি সংখ্যায় আবেদন জমা পড়েছে যে তা বাড়িয়ে ১২ লক্ষ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মোতাবেক গত শুক্রবার রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে পঞ্চায়েত দফতর।

এরই পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসে ২ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খাতে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এখানে বলে রাখা ভাল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তাদের তালিকায় সংখ্যাটাও কিছুটা বেড়েছে। নতুন ৫ লক্ষ নাম তালিকায় ঢোকানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বলা দরকার, আবাস যোজনা খাতে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেও তা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। কারণ, দিল্লির অভিযোগ, উপভোক্তাদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম হয়েছে। এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, আবাসের টাকা রাজ্যই দেবে। অনেকেই মনে করছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এটি মাস্টারস্ট্রোক।

আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, শেষ কিস্তিতে ১২ লক্ষ পরিবার এমন সময়ে ২০ হাজার টাকা করে পাবেন, যার ৬ মাসের মধ্যেই বাংলায় বিধানসভা ভোট হবে। ফলে ডিসেম্বর মাস তাই তৃণমূলের জন্যও একটা মহা গুরুত্বপূর্ণ মাস হয়ে উঠতে চলেছে। কারণ, টাকা ঢোকার পর থেকে গ্রামগঞ্জে এর উদযাপনও শুরু করে দেবে তৃণমূল।