জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকেই মান্যতা দিল রাজ্য সরকার। আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের চাপে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে সরিয়ে দিল নবান্ন।
স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ দপ্তরের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদে থাকা দেবাশিস হালদারকে বদলি করা হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের স্পেশাল অফিসার অন ডিউটি পদে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদে থাকা কৌস্তভ নায়েককে ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা করা হল। রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা হচ্ছেন স্বপন সোরেন।
নবান্নের তরফে মোট চারটি পদে রদবদলের কথা জানানো হয়েছে। এতদিন ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সুপর্ণা দত্ত। রদবদলের পর অস্থায়ী ভাবে মেডিক্যাল এডুকেশন বা স্বাস্থ্যশিক্ষার ওএসডি পদের দায়িত্ব পেলেন সুপর্ণা দত্ত।
প্রসঙ্গত, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে পাঁচ দফা দাবিকে সামনে রেখে বৈঠকে বসে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠকের পরই কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকেও সরানো হবে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।