• facebook
  • twitter
Saturday, 16 November, 2024

৫০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা, চাপে বঙ্গ বিজেপি

২০ নভেম্বরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ৫০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। তা না হলে দিল্লিতে আয়োজিত মেম্বারশিপ পর্যালোচনা বৈঠকে স্থান পাবে না বঙ্গ বিজেপি।

ফাইল ফটো (এএনআই)

২০ নভেম্বরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ৫০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। তা না হলে দিল্লিতে আয়োজিত মেম্বারশিপ পর্যালোচনা বৈঠকে স্থান পাবে না বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এরকমই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপি সূত্রের খবর, ২০ নভেম্বরের মধ্যে ৫০ লক্ষ্য সদস্য সংগ্রহ কার্যত অসম্ভব।

আজ, ১৭ নভেম্বর সদস্য সংগ্রহের বিশেষ অভিযান রয়েছে। এদিন কিছুটা হলেও সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি আসবে বলে মনে করা হলেও হাতে রয়েছে আর মাত্র ২–৩ দিন। এত কম সময়ে ৫০ লক্ষের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। লক্ষ্য ছিল, নভেম্বর মাসের মধ্যে বঙ্গে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করবে বিজেপি। কিন্তু তা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, ২০ নভেম্বর দিল্লিতে আয়োজিত পর্যালোচনা বৈঠকে বঙ্গ বিজেপিকে ৫০ লক্ষ্য সদস্য দেখাতে হবে।

উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সল্টলেকে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেছিলেন। ওই দিন রাজ্যজুড়ে ৩৫ হাজারের বেশি সদস্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৭ থেকে ১৮ হাজার সদস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর বিশেষ অভিযান করা হয়েছিল। এই অভিযানে ৭৩ হাজারের কিছু বেশি সদস্য সংগ্রহ করা হয়। আজ রবিবারও এই বিশেষ কর্মসূচি চালানো হবে।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় গড়ে ২০ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে জেলা প্রতি গড়ে ৪০ হাজার জন নাম নথিভুক্ত করেছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ লক্ষের কাছাকাছি সদস্য সংগ্রহ হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

এবার অ্যাপে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করলে তাঁকেই সদস্য হিসেবে ধরা হবে। মিসড কলের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। ফলে এবার আলাদা চ্যালেঞ্জ রয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের কাছে। এই কারণে তড়িঘড়ি তাঁরা বৈঠকেও বসেছে। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে খবর গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকলেও বাংলার মাঠে ময়দানে নেমে বঙ্গের নেতারা সেভাবে কাজ করছেন না। এই কারণে সদস্য সংগ্রহেও তেমন গতি আসছে না। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কটাক্ষের মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্য নেতৃত্বকে।